রাজস্থানের পুষ্কর মন্দির থেকে বেরোনোর পথে মমতার কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি!

রাজস্থানের পুষ্কর মন্দির থেকে বেরোনোর পথে মমতার কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি!

 জয়পুর: জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থানের অজমের শরিফে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দরগায় চাদর চড়ানোর পর তিনি পৌঁছন কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মন্দির শহর পুস্করে৷ সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে শুনতে হল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। মমতার কনভয়ের সামনে এসে এক ব্যক্তি এই স্লোগান দেন৷ মমতার কনভয় অবশ্য থামেনি। তাঁর কনভয়ে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি মমতার কনভয় দেখে স্লোগান দিয়েছিলেন, তাঁকে তাড়া করে পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তিকে ধরা গিয়েছে কি না,  তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন- তাঁর বিরুদ্ধেই তো টুইট হয়! সাখেতের গ্রেফতারিতে খোঁচা মমতার, পাল্টা দিল বিজেপি

মঙ্গলবার দুপুর অজমের শরিফে চাদর চড়ানোর পর তিনি পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে পৌঁছন। পুজো দিয়ে যখন তাঁর কনভয় বেরচ্ছে, ঠিক তখনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ওঠেন। বার দু’য়েক চিৎকার করতে শোনা যায় তাঁকে৷ 

প্রসঙ্গত, মমতাকে লক্ষ্য করে এর আগেও একাধিকবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠেছে৷ ২০১৯ সালের মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখেই বেশ কয়েক জন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েছিলেন। স্লোগান কানে যেতেই গাড়ি থামাতে বলেন মমতা। সটান দরজা খুলে গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। স্লোগান দেওয়া ওই যুবকরা দেখেন পরিস্থিতি বেগতিক৷ ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকে এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘কী রে, পালাচ্ছিস কেন? আয়, আয়! পালাচ্ছিস কেন?’’

এর পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে৷ কখনও তিনি বিরক্ত হয়েছেন, কখনও মেজাজ হারিয়েছেন৷ উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে সভা করতে যাওয়ার সময়েও একই ভাবে তাঁকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠেছিল। তবে সে বার শান্ত ছিলেন মমতা। পরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এরা কখনও জয় সিয়ারাম বলে না।’’