কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ যে জাতীয় শিক্ষানীতি মানছে না, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ রাজ্য বিধানসভাতেও সে কথা স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাহলে রাজ্যের শিক্ষানীতি কি হবে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর মিলল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে৷ প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষানীতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জানানো হল।
বিভিন্ন স্কুলে পড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ প্রথম শ্রেণি থেকেই বাংলা ভাষা সম্পর্কে যাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়, সে বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে৷
এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকে এমসিকিউ (MCQ) ধাচে প্রশ্ন থেকে শুরু করে সেমিস্টার পদ্ধতি সহ একাধিক বদল আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণি বা তারপর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে মত রয়েছে শিক্ষা দফতরের। জাতীয় শিক্ষা নীতি পর্যালোচনাকারী কমিটিও এই সুপারিশ করেছে। তিন বছর ধরে ধাপে ধাপে এই পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাসও পুনর্মূল্যায়ন করবে কমিটি। সর্বভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক বোর্ডগুলির সিলেবাস খতিয়ে দেখেই পাঠক্রম তৈরি করা হবে৷ উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে সেমিস্টার চালুর সুপারিশ করেছে এই বিশেষ কমিটি।
এছাড়াও স্কুল স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদোন্নতির সুপারিশও মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুলগুলির সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে স্নাতন ও স্নাতকোত্তর স্তরে পরিবর্তন আনা হলেও এখনই চার বছরের বিএড কোর্সের পথে হাঁটছে না রাজ্য সরকার। দু’বছরের কোর্সই থাকবে। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে তাদের ওয়েবসাইটে রাজ্যের নয়া শিক্ষা নীতি আপলোড করা হয়েছে।