নন্দীগ্রাম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে এই বিধানসভা কেন্দ্রের তাৎপর্য। নন্দীগ্রামে ভোটের আগে আজ থেকেই সেখানে থাকছেন তৃণমূল নেত্রী। উত্তেজনার আবহেই নন্দীগ্রামের জন্য তিনি করলেন বড়সড় ঘোষণা।
আগামী এক বছরের জন্য নন্দীগ্রামেই বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন নিজের কেন্দ্রে বসন্ত উৎসবের মঞ্চ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে নিজের কলকাতার বাড়ির রেপ্লিকা হিসেবে নন্দীগ্রামে একটি কুঁড়েঘর বানাবেন বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বহিরাগত’ তকমা আঁটা হচ্ছে, তখন এই বড় ঘোষণা নিঃসন্দেহে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
বস্তুত, নন্দীগ্রামের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ পুরোনো। ২০১১ সালে এই কেন্দ্রের ঘটনাপ্রবাহকে হাতিয়ার করেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার মসনদ দখল করেছিলেন তিনি। ৩৪ বছরের বামপন্থী সাম্রাজ্যের ইতি ঘটিয়েছিল এই নন্দীগ্রাম। তাই নন্দীগ্রামের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মিক যোগ আলাদা মাত্রা পেয়ে থাকে বরাবরই। এবার তাই এই নন্দীগ্রাম থেকেই নিজের বাড়ির রেপ্লিকা কুঁড়েঘর বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, “এখানে একটা কুঁড়েঘর বানিয়ে নেবো আমি, ঠিক আমার বাড়ির রেপ্লিকা।… আমি হয়তো চিরদিন বেঁচে থাকবো না। কিন্তু এই বাড়িটা দেখতে সবাই আসবে। আন্দোলনের ভূমিকন্যার বাড়ি।”
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই দলের প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবে নিজের নতুন ভোটার কার্ডও বানিয়েছেন তিনি। আর বারবারই তৃণমূল সুপ্রিমোকে নন্দীগ্রামে বহিরাগত বলে দাবি করেছেন।