কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর ছেড়ে এবার নন্দীগ্রামকে লড়াইয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য গতকালই মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে এসেছেন মনোনয়ন পত্রও। বিডিও অফিসে এবছরে মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা নির্বাচনী হলফনামা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত পাঁচ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ কমে হয়ে গিয়েছে প্রায় অর্ধেক, হলফনামায় এমনটাই তথ্য পেশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সম্পত্তির এই নজিরবিহীন হ্রাসের খবরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। মহকুমা শাসকের কাছে পেশ করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ জানিয়েছেন ১৬.৭২ লক্ষ টাকা। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে হলফনামা তিনি পেশ করেছিলেন তাতে এবারের তুলনায় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় দ্বিগুণ।
বস্তুত, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামায় সম্পদের মোট পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৩০.৭৫ লক্ষ টাকা। ফলে এবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সম্পদ গত ৫ বছরে প্রায় ৪৫.১% কমে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বলেই প্রচলিত রয়েছে ধারণা। তার উপর যদি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটিই রাজ্যের ক্ষমতায় আসীন থাকে, তবে সম্পদ বৃদ্ধির হারটা অনিবার্য ভাবেই হয় উর্দ্ধমুখী। এমতাবস্থায় শাসকদল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির গ্রাফ উল্টো পথে হাঁটা রীতিমতো বেনজির ঘটনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বুধবার বিডিও অফিসে পেশ করা হলফনামায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বর্তমানে তাঁর ব্যাঙ্কে রয়েছে ১৩.৫৩ লক্ষ টাকা। নগদ রয়েছে ৬৯২৫৫ টাকা। এছাড়া অন্যান্য বিনিয়োগ এবং গয়নাগাটি বাবদ রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। উল্লেখ্য, বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে এসেছেন তিনি বেতন নেন না। ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, বই প্রকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে যে আয় হয় তা দিয়েই দিন কাটিয়ে দেন তিনি।