কলকাতা: ভোট মরশুমের মাঝেই আজ রথযাত্রা। রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে জগন্নাথদেবের উৎসব। আর কোথাও যেন রথ আর ভোট মিলেমিশে একাকার৷ ভোট টানতে রথ রশিতে টান বাংলার নেতা নেত্রীদের। যদিও ভোট থাকুক বা না থাকুক, ফি বছর রাস্তায় নেমে রথ টানতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার ইস্কনের রথযাত্রায় সামিল হবেন তিনি। পিছিয়ে নেই বিজেপি নেতারাও৷ রাস্তায় নেমে রথ টানবেন তাঁরাও। আসলে রথযাত্রার উৎসবকেই ভোট টানার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে মরিয়া রাজনীতির কারবারিরা৷
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট৷ ৮ জুলাই রাজ্যে হবে নির্বাচন। তাই রথযাত্রায় সামিল হয়ে নেতানেত্রীরা রথ টানার পাশাপাশি মানুষের ভোট টানার কৌশল নিচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও রথ টানার সঙ্গে যে রাজনীতির কলা বেচার সুযোগও পাওয়া যায়, তা স্বীকার করতে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ধর্মীয় উৎসব নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে না। দরকারও পড়ে না। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের যোগ বরাবরের। সেই যোগ এবং টান থেকেই মানুষের উৎসবে অংশ নেন দলের নেতারা। ভোট তো আর সব বছর থাকে না!’’
তবে এটা ঠিক যে সব বছর ভোট থাকে না। কিন্তু জনসংযোগ থাকে। রথযাত্রায় সামিল হয়ে এলাকার মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যায়৷ সেই কারণেই হয়তো মঙ্গলবার নিজের এলাকা সিঙ্গুর এবং হরিপালে রথ টানবেন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। আবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ব্যস্ত থাকবেন চেতলা অগ্রণীর খুঁটিপুজো নিয়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রথযাত্রা পড়ায় সকলেই এখন তার ফায়দা নিতে চাইছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
জানা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী আজ তমলুক এবং নন্দীগ্রামে রথ টানবেন৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ যাবেন কলকাতার কাশীপুরের রথযাত্রায়৷ আবার রথের টান দিতে সোমবার রাতেই নিজের লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে চলে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>