দক্ষিণ কাঁথি: আর মাত্র ৬ দিন পর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। একুশের নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে তৃতীয় বারের জন্য শেষ হাসি হাসতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে দলবদলের কালো মেঘে দিশাহারা হয়েছে শাসকদল, কিন্তু কোমর বেঁধে লড়াই করতে ছাড়েননি তিনি। এদিন যখন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে এসেছেন স্বয়ং অমিত শাহ, যখন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের সহকর্মী শিশির অধিকারী হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া পতাকা, তখনই ‘গদ্দার’ আর ‘মীরজাফর’দের বিরুদ্ধে ফের একবার গর্জে উঠলেন ঘাসফুল নেত্রী।
যাঁরা ভোটের আগে দল ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের শঠতার বিপরীতে এদিন নিজেকে ‘গাধা’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কাঁথির সভা থেকে তিনি বলেন, “ওদের অনেক টাকা, অনেকে খেয়েছে, আমি বুঝতেই পারিনি।” নাম না করে যে তিনি মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের দিকেই নিশানা করেছেন তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়না রাজনীতি সচেতন মানুষের। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে তদন্তের নির্দেশ দেবেন তিনি, জানিয়েছেন সে কথাও।
দলীয় সভা মঞ্চ থেকে এদিন জনগণের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচয় করিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জ্যোতির্ময় করের সঙ্গে। দলের কো-অপারেটিভ মুভমেন্টের নেতা জ্যোতির্ময় করকেই তিনি আগামী দিনে দলের মধ্যে থেকে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে দলত্যাগীদের আক্রমণ করে বলেন, “আমি জানতাম না এদের এত গুণ, এত টাকা করেছে যে সেই টাকা বাঁচানোর জন্য আজ পালিয়েছে।” জ্যোতির্ময় করের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাঁচ হাজার কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, দলের মধ্যে থেকে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে এখন সেই টাকা দিয়ে গুণ্ডা পুষছেন তৃণমূলত্যাগী নেতারা, এদিন দক্ষিণ কাঁথির সভা মঞ্চ থেকে এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মানুষকে তিনি বিভ্রান্ত না হয়ে ভোট দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর পর আজ অমিত শাহের সভায় গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন তাঁর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও।