গড়বেতা: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির সম্ভাবনা নিয়ে জারি তরজা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার সুবাদে নন্দীগ্রাম এমনিতেই পরিণত হয়েছে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে। আর এই কেন্দ্রে তাই নানা বিষয়কে ঘিরে লেগেই রয়েছে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব। দলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতারির সম্ভাবনা তৈরি হতেই গর্জে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের সেই আবহেই আরো জোরদার করলেন প্রতিবাদী সুর।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হলে বিজেপি কর্মীদেরও জেলের ঘানি টানতে হবে, এদিন দলীয় জনসভা থেকে হুইলচেয়ারে বসেই হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যাঁরা ভূমি আন্দোলন করেছে, ‘জমি বাঁচাও’ আন্দোলন করেছে, তাঁদের কেন গ্রেফতার করতে হবে? তাঁদের গ্রেফতার করতে হলে বিজেপি তোমাদেরও সবকটাকে গ্রেফতার হতে হবে, এটা মাথায় রেখে দিও।”
গড়বেতার জনসভা থেকে নিজের এই বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তিও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, “গণ আন্দোলন আর ক্রিমিনাল কেস দুটো সমান নয়। যাঁরা ভূমি আন্দোলনকে আঘাত করে, তারা ঠিক কাজ করে না।” আগামী ২৭ মার্চের নির্বাচনের জন্য সভায় উপস্থিত মা বোনেদের কাছে আশীর্বাদও চেয়ে নেন তিনি।
বস্তুত, ভোটের আগেই নন্দীগ্রামের একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গ্রেফতার হতে পারেন, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দুদিন আগেই। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন পর্বের একাধিক মামলা গত জুন মাসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত মামলা ভোটের মুখে এবার পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া মহকুমা আদালত। এর জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান সহ একাধিক ঘাসফুল নেতা কর্মী পড়তে পারেন বিপাকে। ওই মামলায় হলদিয়া মহকুমা আদালতের বিচারপতি জানিয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, অথচ জামিন নেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। ভোটের আগে এমন ঘটনাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে তৃণমূল।