দক্ষিণ কাঁথি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক দলবদলে দিশাহারা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ভোট প্রস্তুতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে তৃতীয় বারের জন্য নীল বাড়ির ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তিনি। এদিন দলীয় জনসভার সভা মঞ্চ থেকেও আরো একবার পাওয়া গেল সেই ইঙ্গিত।
তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকতে গেলে দিতে হবে জোর গলায় স্লোগানও, এদিন সভা মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া গলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন দলের প্রচারে কোনো খামতি, কোনো ঢিলেমিই তিনি বরদাস্ত করতে রাজি নন। সাফ জানালেন, “স্লোগান না দিলে আমি মঞ্চে উঠতে দেব না।” অর্থাৎ প্রথম দফা নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে দলের তরফে আরো বেশি করে কর্মোদ্যম প্রত্যাশা করছেন তিনি, এদিনের আচরণ থেকে পরিষ্কার হল সেই কথা।
ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন দক্ষিণ কাঁথির সভা মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ ভাষণের পর আসে স্লোগান দেওয়ার পালা। সেই অনুযায়ী মাইক হাতে একের পর এক স্লোগান দিতেও থাকেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু মঞ্চের নীচে থাকা জমায়েত থেকে সাড়া মিললেও মঞ্চে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেককেই দেখা যায় চুপ করে থাকতে। আর তাতেই চটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “আমি এত অসুস্থ শরীর নিয়ে চিৎকার করছি, তোমরা পারছো না?” সেই সঙ্গে নেতাদের উদ্দেশ্যে শৃঙ্খলার বার্তাও দেন তিনি, “নেতা কর্মীদের থেকেও বেশি শক্তিশালী হবে। নীচের কর্মীরাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। মঞ্চে থেকে স্লোগান না দিলে আমি মঞ্চে উঠতে দেব না।”
বস্তুত, এদিন মঞ্চস্থ কর্মীদের উপর বেশ ক্ষুব্ধই শোনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা। অবশ্য সুপ্রিমোর এহেন ধমকের পর আর কেউ মুখ বুজে থাকার সাহস পাননি। স্লোগানের পর স্লোগানে গলা ফাটাতে থাকেন সকলেই। ভোটের আগে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে যে কড়া হচ্ছেন নেত্রী, এদিনের ঘটনা থেকেই তার প্রমাণ পেয়েছেন কর্মীরা।