দিনহাটা: বাংলার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ভোট পর্ব গতকাল হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। এর পর আবার আজ থেকে জেলায় জেলায় জনসভা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দিনহাটায় জনসভা করে নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তিনি এবং একইসঙ্গে তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের বাড়ি এবং তাঁর পরিজনদের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপিকে প্রশ্ন করলেন, “উত্তরপ্রদেশে তো করো না? রাজস্থানে তো করো না?’
এদিন মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া তামিলনাড়ু এবং অসম বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। সেই কারণে তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আয়কর হানা করিয়ে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, বিজেপি বিরোধী দল আছে তাদের দাবিয়ে রাখার জন্য আয়কর হানা করাচ্ছেন বিজেপি। তামিলনাড়ুর মত পশ্চিমবঙ্গেও আয়কর হানা করাচ্ছে তারা। একইসঙ্গে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অত্যাচার করাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬৩ টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়ে দেন মমতা। তিনি নিজেও এফআইআর দায়ের করেছেন বলে জানান। এর পাশাপাশি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী দিনে তারাই সরকার গড়বেন এবং প্রত্যেকটা মামলা নিয়ে তদন্ত হবে। বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর উদ্দেশ্যে মমতার হুঁশিয়ারি, দুদিন বাদে অমিত শাহ পালিয়ে যাবে, কিন্তু মানুষের করা অভিযোগ তিনি তুলে নিতে পারবেন না কারণ সেই ক্ষমতা তাঁর নেই।
একইসঙ্গে গতকালের নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে এদিন মমতা ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সহ্য করবেন তবে নির্বাচনী হেরে যাওয়ার পর তিনি দেখবেন এই সব গুন্ডা গুলো কোথায় যায়! মমতার হুঁশিয়ারি, যেখানে যাবে সেখানে থেকে টেনে আনবেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান তাই জন্য নির্বাচন চলাকালীন তিনি কিছু করবেন না। তবে একবার নির্বাচন শেষ হলে তিনি দেখে নেবেন এই গুন্ডা গুলো কী করে।