চন্দ্রকোণা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তার আগে জোরকদমে চলছে প্রাক-নির্বাচনী প্রচারের চূড়ান্ত পর্যায়। এ রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য নীল বাড়ির ক্ষমতা দখল করতে যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে আরো একবার পাওয়া গেল তার নিদর্শন। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।
দিল্লির ‘হোদল কুৎকুৎ’ মন্ত্রী রাক্ষসের মতো বাংলাকে গিলে খাওয়ার কথা ভাবছেন, এদিন দলীয় জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করলেও তাঁর নিশানা যে ছিল অমিত শাহের দিকেই তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। এদিন দলের হয়ে প্রচারের জন্য চন্দ্রকোণার সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই করা মন্তব্যে ফের উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন তিনি বলেন, “দিল্লিতে এক হোদল কুৎকুৎ মন্ত্রী আছে। সে বলছে নাকি বাংলাকে দেখে নেবে। কী দেখবে?” এখানেই থেমে না গিয়ে তিনি আরও বলেন, “রাক্ষস না কি যে বাংলাকে গিলে খাবে? মমতাকে গিলে খাবে? আমাকে গিলে খেলে আমি পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবো।” দলনেত্রীর এহেন মন্তব্যে সভাস্থলে উন্মাদনার সৃষ্টি হলেও রাজনৈতিক মহল যে এমন মন্তব্যকে বিশেষ ভালো চোখে দেখছে না তা বলাই বাহুল্য।
এর আগেও অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদীর মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অশোভনীয় ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটেনি। এমনকি শীর্ষ নেতৃত্বকে অপমানের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে কদর্য ও আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগে কম যান না বিজেপি নেতারাও। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন গেরুয়া রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ভোটের আগে রাজনৈতিক বাদানুবাদে জমে উঠেছে একুশের নির্বাচনী আবহাওয়া।