আরে হাম হ্যায় না! রাজ্যবাসীকে ‘বলিউডি আশ্বাস’ মমতার

২১ জুলাই শহিদ স্মরণ সভা থেকে রাজ্যবাসীকে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন আগামী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার আর্জি জানালেন। এছাড়া তিনি যে সর্বদা বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন, সেই বার্তা শোনা গেল তাঁর ভাষণে। বলিউডি ছন্দে এদিন তিনি বলেন, ‘হাম হ্যায় না!’

bb51b5ba3dd9cdfeb2f1a133971c489f

 

কলকাতা: ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ সভা থেকে রাজ্যবাসীকে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন আগামী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার আর্জি জানালেন। এছাড়া তিনি যে সর্বদা বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন, সেই বার্তা শোনা গেল তাঁর ভাষণে। বলিউডি ছন্দে এদিন তিনি বলেন, ‘হাম হ্যায় না!’

২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ভয় পাওয়ার বা চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। হাম হ্যায় না! চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আপনারাও আছেন তো। আমিও আছি। আপনারাও আছেন। আসুন না, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি! আবার বাংলাটাকে আমরা বাঁচাই। নতুন করে বাঁচি। নতুন করে বাঁচতে শিখুন।’ এছাড়াও বিজেপি-র রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিকে ‘নোংরা’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই শহিদ স্মরণ সভা থেকে সরাসরি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক ঘটনা তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরের ‘নোংরা রাজনীতি’র বিরুদ্ধে এদিন সরব হতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তিনি সরাসরি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনধন প্রকল্পে ৪০০০ টাকা ভিক্ষা  দেবেন আর ৪ হাজার কোটি টাকা লুঠ করবেন!’ এছাড়াও বিজেপি নিজে চুরি করে অন্যদের চোর বলে, এমনও মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তাই আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় বসে পড়ছে। রাস্তা অবরোধ করছে। যেন নিজের রাস্তা। দিল্লি যেন বানিয়ে দিয়ে গেছে। গায়ের জোর চলছে সর্বত্র।’ এছাড়াও মমতা এদিন বলেন, বিজেপি সর্বত্র লাঞ্ছনা, বঞ্চনা করছে রাজ্যকে। কিন্তু বন্দুকের সামনে তিনি ভয় পান না। বরং নতুন বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাই শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার দেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *