প্রতি বছর ২০০ জনকে কাজের ব্যবস্থা করবেন মমতা, থাকছে ইন্টার্নের সুযোগ

দেশে যেখানে যখন বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে তখন রাজ্যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের সংখ্যা কমেছে, এমনটাই দাবি করলেন মমতা। পাশাপাশি দেশের ছাত্রযুবদের উদ্দেশ্যে ইতিবাচক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার প্রতি বছর ২০০ জন করে পড়ুয়া সিএমও বা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবে। মূলত রাজ্যের পড়ুয়াদের হাতে কলমে কাজ শেখানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকার।

 

কলকাতা: দেশে যেখানে যখন বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে তখন রাজ্যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের সংখ্যা কমেছে, এমনটাই দাবি করলেন মমতা। পাশাপাশি দেশের ছাত্রযুবদের উদ্দেশ্যে ইতিবাচক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার প্রতি বছর ২০০ জন করে পড়ুয়া সিএমও বা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবে। মূলত রাজ্যের পড়ুয়াদের হাতে কলমে কাজ শেখানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর৷

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে, গত কয়েক বছরে কর্মসংস্থানের কার্যাবলী নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা বিশ্লেষন করেন মমতা। গত দশ বছরে দেশে কয়েক কোটি বেকার কাজ পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, দিঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, সিলিকন ভ্যালি, দেওচা পাঁচামির মতো প্রকল্পে আগামী দিনে কয়েক লক্ষ কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। এর সঙ্গেই তিনি বলেন ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যত। তাই হাতে কলমে কাজ শিখলে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে।

মমতা এদিন আরও জানিয়েছেন, গত দশ বছরে আইটিআইতে ৮৫ হাজার আসনের সঙ্গেই  পলিটেকনিকে ৪০ হাজার আসন গড়েছে রাজ্য। রাজ্যে ১৪টি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বহু নার্সিং কলেজের পাশাপাশি স্পেশাল কোর্সের জন্য একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যে কর্মসংস্থানের ভিত্তিতে প্রচুর কাজ হচ্ছে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের মঞ্চ থেকে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত কামতাপুরী ভাষার বই প্রকাশ পাবে। পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অলচিকি হরফ, উর্দু, গুরমুখি, ইত্যাদির মতো আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমস্ত মানুষদের পাশে নিয়ে চলতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষ এক হলে তাদের বিভেদের নীতিকে সহজেই হারানো যাবে। এই মঞ্চে ছাত্রযুবদের উৎসাহ দিতে তিনি বলেন, “হাম লড়েঙ্গে, হাম জিয়েঙ্গে! ছাত্র সমাজ লড়বে, করবে, হাসবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − two =