কলকাতা: স্কুল খোলা নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, মহামারী আইন অনুযায়ী পরীক্ষা স্থগিত করে পরে করা যেতে পারে। কিন্তু পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরীক্ষা ব্যবস্থা এখন স্থগিত রাখা হবে। ১৫ থেকে ৩০ দিন পরে করার কথা জানা মমতা।
এদিন তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এখন স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল হওয়া প্রয়োজন। তাই এই দুই শ্রেণির ক্ষেত্রে ক্লাস হবে। এদিন নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও একহাত নেন তিনি। বলেন, নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থায় কী হবে, তা এখনও ধোঁয়াশা। দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যেন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না যান। ন্যূনতম যেটুকু দরকার সেটুকুই যেন করা হয়। সভায় উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আলোচনা করে যেন পরের সপ্তাহের মধ্যে যেন ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেপ্টেম্বর মাসে যে পরীক্ষা হবে না, তা এদিন নিশ্চিত করেন মমতা। পরীক্ষা যদি হয় তাহলে পুজোর ঠিক আগে। এনিয়ে শিক্ষা দপ্তরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন তিনি।
এদিন সভা থেকে কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা। বলেন, “এমনই একটা কেন্দ্রীয় সরকার, শুধু ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। মন কি বাত বলে যাচ্ছেন। একবার মন কি বাতে ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন তারা কী চাইছে। সাজিয়ে গুছিয়ে নয়। আসল ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করুন। তারা যা চাইছে, সেটাই আমরা মেনে নেব। এর থেকে দূরে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি আমাদের ছাত্র্ছাত্রীরা আমাদের সবচেয়ে বড় গর্ব। এরা শুধু বাংলা নয়, দেশের অ্যাসেট। তাদের স্কিল, ট্যালেন্ট, রিসার্চ, মেন্টালিটি তা সবার থেকে অনেক বেশি।”