কুয়ালালামপুর: সিনেমার শ্যুটিংয়ে হোক কিংবা প্রশাসনিক নজরদারিতে, ড্রোনের ব্যবহার আজকাল আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। সম্প্রতি টপ অ্যাঙ্গেলের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ড্রোন। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ড্রোনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এহেন ড্রোনকেই এবার এক অত্যাশ্চর্য পদ্ধতিতে তৈরি করে দেখালেন মালয়েশিয়ার একদল বিজ্ঞানী।
পরিত্যক্ত আনারসের পাতা ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের উপযোগী উন্নত মানের ড্রোন তৈরি করেছেন একদল বিজ্ঞানী, এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। আনারসের পাতা দিয়ে ওই বিজ্ঞানীরা মূলত তৈরি করেছেন ড্রোনের ফ্রেম। প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের এই অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে। মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি আনারসের পাতার এই ড্রোন সাধারণ ড্রোনের মতোই কার্যকরী। এই ধরণের ড্রোন যদি বাজারে আসে তবে তার দাম যেমন হবে অনেকটাই সস্তা, তেমন পরিবেশের পক্ষেও তা ক্ষতিকারক হবে না, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সের খবরের সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের এই সাড়া জাগানো আবিষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন মহম্মদ তারিখ হামিদ সুলতান। তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য গবেষক। বেশ কয়েক বছর ধরেই নাকি এই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তিনি। শুধু ড্রোনেই নয়, আরো একাধিক যন্ত্রের নির্মাণেই আনারসের পাতা ব্যবহারের কাজ চালাচ্ছেন মহম্মদ তারিখ হামিদ সুলতান। রয়টার্স সূত্রের খবর, আনারসের পাতা দিয়ে একটি ফাইবার তৈরি করেছেন হামিদ সুলতান ও তাঁর সঙ্গীরা। এই ফাইবারটিই ড্রোন বা তৎসদৃশ বিভিন্ন যন্ত্রে ব্যবহার করার উপযোগী। সাংবাদিকদের কাছে মহম্মদ তারিখ হামিদ সুলতান জানিয়েছেন, ‘‘জৈব কোনও উপাদান থেকে তৈরি করা ড্রোন অনেকাংশেই সিন্থেটিক ফাইবার দ্বারা নির্মিত ড্রোনের তুলনায় শক্তিশালী। শক্তি, ওজন সব দিক থেকেই জৈব উপায়ে নির্মিত ফাইবারের ড্রোন সেরা।’’ আর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে আনারসের পাতার তৈরি এই ড্রোনে? হামিদ সুলতান জানিয়েছেন এই নতুন ড্রোন হবে ওজনে অনেক কম, ফলে খুব সহজেই এগুলি আকাশে উড়তে পারবে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এক্ষেত্রে খরচ হয়ে যাবে প্রায় অর্ধেক।