নিয়ম না মানলে ১৫ দিনের মধ্যে ফের লকডাউন! হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

গত কয়েকদিনে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ

63d67c0d1c1f3753d1b6104dd49494f0

মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের হার যেভাবে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে তাতে ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসন ও সরকারের কপালে। করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর অতিমারী নিয়ে মানুষের আতঙ্ক দূর হয়েছিল অনেকটাই। দেশের নানা প্রান্তে কমেও এসেছিল সংক্রমণ। কিন্তু শীতের শেষে ফের একবার মাথা চারা দিয়ে উঠেছে করোনা কাঁটা। তার জেরেই এবার রাজ্যবাসীকে সাবধান করে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

মহারাষ্ট্রে গত সপ্তাহ থেকে ফের অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সুস্থতার হারের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে বেশি। কিন্তু এই অবস্থা বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় না। আর ১৫ দিনের মধ্যে যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তবে রাজ্যে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যবাসীর কাছে যথাযথ ভাবে করোনা বিধি মেনে চলার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। একমাত্র তাহলেই এই আসন্ন লকডাউন পরিস্থিতিকে এড়ানো সম্ভব হবে।

রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহারাষ্ট্রবাসীর উদ্দেশ্যে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে শিবসেনা প্রধান বলেন, “আমাদের কি লকডাউন দরকার? নাগরিক হিসেবে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটা আগামী ৮ দিনেই বোঝা যাবে। যদি আবার লকডাউন না চান, তবে দয়া করে মাস্ক ব্যবহার করুন। আর যদি লকডাউন চান, তবে মাস্কের দরকার নেই।” এটাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিনা তা আগামী ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।

এদিন রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির খতিয়ান পেশ করতে গিয়ে উদ্বিগ্ন শোনায় মুখ্যমন্ত্রীর গলা। তিনি বলেন, “সংক্রমণ বাড়ছে। এখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২-৩ হাজার হয়েছিল। সেখানে এখন আবার ৬-৭ হাজার ছাড়িয়েছে। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৫৩ হাজার। গত বছরের মতো পরিস্থিতিই আবার দেখতে পাচ্ছি।” এরপরই কড়া ঘোষণা করে তিনি বলেন, “আগামী৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি সংক্রমণ না কমে তাহলে ফেল লকডাউন ঘোষণা করা হবে।” উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি না হলেও ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধ জারি করেছে শিবসেনা সরকার। ধর্মীয় ও অন্যান্য স্থানে সব ধরণের জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *