১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি, তুলে নেওয়া হবে কৃষি বিল! ইস্তেহার প্রকাশ তেজস্বীদের

আর কিছু সপ্তাহ পর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ইস্তেহার প্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস, বাম দলগুলির মহাজোট। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করলেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।

আর কিছু সপ্তাহ পর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ইস্তেহার প্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস, বাম দলগুলির মহাজোট। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করলেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রন্দীপ সিং সূর্যেওয়ালা এবং শক্তিসিন গোহিল।

 
এই বছর বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জোটকেই এগিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও এবার এই রাজ্যে জোটের ছড়াছড়ি। কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট ছাড়াও আরো দুটো রয়েছে। এদিন তেজস্বী যাদব বিহারের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন, একই সঙ্গে অন্যান্য জোট গুলিকেও কটাক্ষ করা হয়। তবে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বেকারত্বের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতায় এলে কমপক্ষে ১০ লক্ষ চাকরি দেবে জোট সরকার, একইসঙ্গে বিতর্কিত কৃষিবিল রদ করা হবে। 

এদিন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তেজস্বী যাদব বলেন, “এ বছর আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহার ‘প্রাণ আমাদের, সংকল্প বদলানো’র কথা বলে। আমি নিশ্চিতভাবে বিহারী। আমার ডিএনএ শুদ্ধ। আমার সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। এমনকি সরকারি চাকরির ফর্ম বিনামূল্যে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের খরচ সরকারই বহন করবে।” 

এদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র রন্দীপ সিং সূর্যেওয়ালা বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, তেজস্বী নেতৃত্বে মহাজোট সরকার বিহারে ক্ষমতায় এলে প্রথমেই কৃষিবিল রদ করা হবে।  বিজেপি সরকার যে অরাজগতা শুরু করেছে, তার অন্ত হবে মহাজোট সরকারের হাত ধরে। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, বাজেটের ১২ শতাংশ শিক্ষা ব্যবস্থায় খরচ করা হবে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে বিশেষভাবে কাজ করবে জোট সরকার। এর পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, একসঙ্গে তিনটি দলের সঙ্গে যোগ করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি। একদিকে রয়েছে জেডিইউ-বিজেপি জোট, অন্যদিকে পক্ষান্তরে এলজেপির সঙ্গে যোগ রয়েছে বিজেপির, আবার আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে তাদের। 

যদিও, বিজেপির এই আঁতাত কংগ্রেস আরজেডি জোটের জন্য চিন্তার কারণ। কারণ একদিকে আসাউদ্দিন এবং মায়াবতী হাত মিলিয়েছেন, তাতে আখেরে লাভ রয়েছে বিজেপিরই। সেক্ষেত্রে বিহারের নির্বাচনী লড়াই যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =