কলকাতা: দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের পর সম্প্রতি এসএসকে-এমএসকে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্নের তরফে মাদ্রাসা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়৷
শুক্রবার জেলার মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (সিনিয়র মাদ্রাসা) এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত বেতন পাওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ বর্ধিত বেতন অনুমোদিত মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে৷ বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশই হবে শেষ সিদ্ধান্ত৷
মাদ্রাসা স্কুলগুলির মুখ্য সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকা, করণিক ও গ্রুপ ডি স্টাফদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকারের মাইনরিটি অ্যাফেসার্স এবং মাদ্রাসা এডুকেশন দফতরের নজরে ছিল৷ শুক্রবার মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (সিনিয়র মাদ্রাসা) এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও অশিক্ষক পদের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ ০১.০৪.২০১৯ থেকে এই বেতনক্রম কার্যকর হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘মঞ্চের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে অবশেষে রাজ্য সরকার দীর্ঘ ৮ বছর পরে কিছুটা বেতনবৃদ্ধি করল পঞ্চায়েতের অধীনস্ত শিশুশিক্ষাকেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকদের মত৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কিছুটা বেতন বৈষম্য করা হয়েছে পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে স্নাতক পাশ শিক্ষকদের ১৩০০০ টাকা বেতন হলে ও মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ১২০০০ টাকা করা হয়েছে৷ এবং PG দের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হয়েছে৷ আমারা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মাদ্রাসামন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা ও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এই সমস্যার সমাধান হবে৷ আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি কিন্তু আমাদের মুল দাবি সমকাজে সমবেতন, পেনশন ভাতা, মাদ্রাসাগুলিকে রিকগনাইজেশন দেওয়া সহ অন্যান্যদাবীতে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান না করলে৷’’