madan mitra
কলকাতা: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের ন’জন নেতা-মন্ত্রী সহ মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। ঘড়িতে তখন সকাল ৯.৪৫। কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছয় সিবিআই-এর দল। তার পর তাঁর দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রায় ৫ ঘণ্টা তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর মদন মিত্রের বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআই আধিকারিকরা। ৫ ঘণ্টা ধরে কী কী প্রশ্ন করা হল তাঁকে? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খোশ মেজাজেই জবাব দেন তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা৷ তিনি বলেন, ‘ওরা জিজ্ঞেস করেছে আমার একটা বৌ না দুটো বৌ!’
মদন বরাবরই রসিক মানুষ৷ খোশ মেজাজে থাকতেই ভালোবাসেন৷ তাঁর মুখে ‘ওহ লাভলি’ হোক কিংবা তাঁর সাজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবই ভাইরাল৷ তবে তাঁকে নিয়ে মিমিও কম হয় না৷ তবে ওসবে বিশেষ আমল কোনও কালেই দেননি মদন৷ কখনও রাগ করতে কিংবা বিরক্ত হতেও দেখা যায়নি প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এদিন সিবিআই হানা দেওয়ার পরেও স্বমেজাজেই ধরা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ তদন্তকারী অফিসাররা বেরিয়ে যেতেই স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় মাতলেন মদন। বললেন, ‘‘আমি পাঠান, পাঠান, পাঠান। টাইগার মরা নেহি।’ আর বৌ নিয়ে প্রশ্ন? মদনের জবাব, ‘আমি জানি, আমি হাঁটলে পিছনে ৫০টা গোপিনী হাঁটবে। তবে আমার নামে কোনও ৪৯৮ হয়নি। আমার সব ভার্চুয়াল। কৃষ্ণের এত বান্ধবী থাকতে পারে আমার থাকতে পারে না?’