কলকাতা: তিনি কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু দোলযাত্রার রঙিন সকালে তাঁকেই দেখা গেল বিজেপির তারকা প্রার্থীদের সঙ্গে রঙের খেলায় মেতে উঠতে। পায়েল সরকার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কিংবা তনুশ্রী চক্রবর্তী, মদন মিত্রের সঙ্গে দোল খেলতে দু’বার ভাবলেন না কেউই। বসন্তের সকালে এমনই অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ভোটমুখী কলকাতা।
গঙ্গাবক্ষে মদন মিত্র আয়োজিত দোল উৎসবে এদিন সামিল হয়েছিলেন বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। এমনিতেই এবছরের ভোটের আগে টলিউড তারকাদের রাজনীতি সংযোগ হতচকিত করে দিয়েছিল আপামর দর্শককে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চে এখনও যে অনেক রঙ্গ বাকি আছে দিনের পর দিন প্রমাণ হচ্ছে সেই অমোঘ সত্য। গঙ্গাপাড়ের আজকের ঘটনাও একই বার্তা দিল।
এদিন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র আয়োজিত দোল উৎসবে শুধু বিজেপির তারকা প্রার্থীরাই যে ছিলেন তা নয়, ছিলেন তৃণমূলের একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বও। দেদার চলছিল ‘খেলা হবে’ গান, আর তার তালে তালে কোমর দোলাতেও কসুর করেননি কেউ। রাজনীতির ময়দানে ভিন্ন পক্ষ হলেও ভোটের মুখে কেন এই সম্প্রীতি? বিভেদ কি সব মুছে গেল? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব বেহালার গেরুয়া প্রার্থী পায়েল বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, আজ আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। হোলি খেলছি।”
কিন্তু তাই বলে ঘাসফুল বাহিনীর যে সিগনেচার স্লোগান, এযাবৎ যার বিরোধিতা করে এসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তারই তালে তালে নাচ? শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, “খেলা হবে একটা ভালো গান, নাচতে কি আছে?” খোশমেজাজে রয়েছেন মদন মিত্রও। তাঁর কথায়, “একটা বান আসছে। দোলের দিন সবাই সবাইকে ধরে রাখতে বলছে তাই। আজকে বসন্ত উৎসব, এখানে সবাই বাংলার মানুষ। তাই আজ কোনো রাজনীতি নয়।”
বসন্তের সকালে এই তারকা সমাবেশ, সঙ্গে মদন মিত্র আর ‘খেলা হবে’, সবমিলিয়ে কোন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে ২০২১-এর দোলপূর্ণিমা? প্রশ্ন কিন্তু উঠে গেছে জোরদার।