সোনারপুরে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিরোধীদের ‘মারধর’ লাভলির, অভিযোগ ওড়ালেন বিধায়ক

সোনারপুরে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিরোধীদের ‘মারধর’ লাভলির, অভিযোগ ওড়ালেন বিধায়ক

 কলকাতা: গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিরোধী দলের প্রার্থী এবং এজেন্টদের উপর চড়াও হলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক৷ তাঁদের মারধর করার অভিযোগ উঠল লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে দলবল নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন তিনি৷ তার পর বিরোধী দলের প্রার্থী এবং এজেন্টদের মেরে কেন্দ্র থেকে বার করে দেন। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল।

বিধায়ক লাভলির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন বাম এবং বিজেপির কর্মীরা। বিধায়ক কী ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের গণনাকেন্দ্রে ঢুকলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী বাসুদেব নস্কর বলেন, ‘‘আমি কালিকাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে। গণনায় আমি ২০০-র কাছাকাছি ভোটে এগিয়েছিলাম। তৃণমূলের তাবড় নেতারা হেরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ লাভলি মৈত্র কিছু গুন্ডা সঙ্গে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। আমাদের এজেন্টকে ওঁরা মারধর করে বার করে দেন। আমাদের ওখানে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। লাভলি তাঁর দলবল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ নিশ্চুপ।’’

এপর এক আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের ভোটকেন্দ্র থেকে মেরে তুলে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিধায়ক লাভলি কী করছেন?’’

যদিও লাভলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। লাভলি জানান, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে গণনাকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজে লাঙলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার বলেও জানান৷ 

লাভলির পাল্টা দাবি, ‘‘বিরোধীরা জানে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। গণতান্ত্রিক ভাবে ওরা কখনওই জিততে পারবে না। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই সকাল থেকেই এ সব অভিযোগ আনছে। আমি পঞ্চায়েত সমিতির এজেন্ট হিসাবে গণনাকেন্দ্রের ভিতর ঢুকেছিলাম। ওদের আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তারা উপস্থিত ছিল। আমরা সঠিক পদ্ধতিতেই জিতেছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *