মুম্বই: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য একাধিক ক্ষেত্র বিপর্যস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্র চিকিৎসা পরিষেবা। ভাইরাস সংক্রমণের ফলে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একদিকে সংক্রমণ, অন্যদিকে লকডাউন, সব মিলিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে অন্যান্য রোগ আক্রান্ত রোগী এবং তাদের পরিবারকে। এবার চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা, লকডাউন কার্যকরী হওয়ার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের সমস্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এমনই আশঙ্কা করছে মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক মহল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দেশের প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ঘাটতি পড়েছিল। ব্লাড ব্যাংকের সমস্যা থেকে শুরু করে, থাইরয়েড রোগী, ডায়াবেটিক রোগীদের সমস্যা বেড়েছে এই সময়। কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও তাদের সমস্যা যে বিন্দুমাত্র কমবে না তার পূর্বাভাস দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মনে করা হচ্ছে, লকডাউন কার্যকরী হওয়ার জন্য ডায়াবেটিক রোগীরা প্রয়োজনীয় মাত্রায় রোগ প্রতিরোধক কার্য করেনি, ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় ঘাটতি পরেছে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং ওষুধ সেবনে। ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক রাখতে যে সমস্ত জিনিস জরুরি, তাতে ঘাটতি পরেছে ভাইরাস পরিস্থিতি এবং লকডাউন কার্যকরী হওয়ার ফলে। সেই কারণে এখন ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়ে আলাদাভাবে আশঙ্কা করছেন ডাক্তাররা।
এ বিষয়ে আশঙ্কা করার আরও একটি বড় কারণ হল, কোমর্বিডিটি। কারণ যেকোনো ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে যদি ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে তাহলে তার অবস্থা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় অনেক দ্রুত খারাপ হওয়ারর সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এমন অনেক করোনা ভাইরাস সংক্রামিত রোগীরা রয়েছেন যারা ডায়াবেটিক। অন্যান্য রোগীদের তুলনায় তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি অনেক বেশি দ্রুত হারে হয়েছে। সেই জন্যই এই মুহূর্তে ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, যদি কারোর ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে তার জন্য আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং এখন যেহেতু লকডাউন উঠে গিয়ে আনলক পর্ব চালু হয়েছে, সেহেতু সেই রোগীর যেন নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা করা হয়। এক্ষেত্রে গাফিলতির কোন জায়গা নেই বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।