মোদীর আচমকা লকডাউন অসংগঠিত শ্রেণির জন্য মৃত্যু ডেকে এনেছে: রাহুল গান্ধী

পিএসইউগুলির ক্রমাগত বেসরকারি হাতে চলে যাওয়া আদতে দেশে বেকারত্ব বাড়ানো ছাড়া কিছুই নয় বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, ‘আজ দেশ মোদী সরকারের মতো বিভিন্ন বিপর্যয়ের সম্মুখীন, যার একটা হল অকারণ বেসরকারিকরণ। দেশের যুবাদের চাকরি চাই অথচ মোদী সরকার কর্মসংস্থান ধ্বংস করছে।

নতুন দিল্লি: করোনা আটকাতে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে আগেও সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মোদী সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত গরিব মানুষের স্বার্থবিরোধী বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার টুইটারে ফের একই কথা বললেন তিনি। জানালেন, আচমকা লকডাউন অসংগঠিত শ্রেণির মানুষের জন্য মৃত্যু ডেকে এনেছে। 

রাহুল লিখেছেন, ‘হঠাৎ লকডাউন অসংগঠিত শ্রেণির জন্য মৃত্যু পরোয়ানা বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২১ দিনে করোনা শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ হয়েছে কোটি কোটি কর্মসংস্থান এবং ছোট শিল্প।’ কেন্দ্রের চাপিয়ে দেওয়া এই লকডাউন সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী, সে কথা আবারও বললেন রাহুল। ‘হাউ দ্য মোদী গভর্নমেন্ট হ্যাজ ডেসট্রয়েড ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ শীর্ষক ভিডিও সিরিজের চতুর্থ ভিডিওয় কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কংগ্রেসের প্রস্তাবিত এনওয়াইএওয়াই প্রকল্পে দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা উচিত ছিল কেন্দ্রের। 

ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রে দৈনিক আয়ের ওপর ভরসা করা দরিদ্র মানুষ। সরকার লকডাউন করে তাদের আক্রমণ করেছে বলে মত রাহুলের। এনওয়াইএওয়াই স্কিমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি রাহুল বলেছেন, গরিবকে আর্থিক সহায়তা না করে মোদী সরকার অল্প কিছু ধনী শিল্পপতিদের কর মকুব করেছে। ৩১ আগস্ট প্রকাশিত এই সিরিজের প্রথম ভিডিওতেই কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, গত ছয় বছর ধরে অসংগঠিত কর্মক্ষেত্র আক্রমণ করতে চাইছে এনডিএ সরকার। 

এরপরে ৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়ে ফের মোদী সরকারকে একহাত নেন রাহুল গান্ধী। পিএসইউগুলির ক্রমাগত বেসরকারি হাতে চলে যাওয়া আদতে দেশে বেকারত্ব বাড়ানো ছাড়া কিছুই নয় বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, ‘আজ দেশ মোদী সরকারের মতো বিভিন্ন বিপর্যয়ের সম্মুখীন, যার একটা হল অকারণ বেসরকারিকরণ। দেশের যুবাদের চাকরি চাই অথচ মোদী সরকার কর্মসংস্থান ধ্বংস করছে। পিএসইউগুলি বেসরকারি হাতে তুলে প্রাপ্ত অর্থ কার জন্য   জমাচ্ছে তারা।’ রাহুলের খোঁচা, মোদীজির স্পেশ্যাল কিছু ‘বন্ধুর’ জন্যই কি এসব।   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − thirteen =