জীবিত ভোটার মৃতের তালিকায়! আজব কাণ্ড সেই নন্দীগ্রামে

জীবিত ভোটার মৃতের তালিকায়! আজব কাণ্ড সেই নন্দীগ্রামে

নন্দীগ্রাম: ভোটের আবহে সাংঘাতিক উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার সারাদিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রইল বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রস্থল। তৃণমূল-বিজেপি তরজা, ছাপ্পা ভোট, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের পাশাপাশি নন্দীগ্রামে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জীবিত ব্যক্তি হিসেবে ভোট দিতে এসে ভোটার তালিকায় নিজেদের মৃত হিসেবে পেলেন নন্দীগ্রামের এক দম্পতি৷ শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হল ওই স্বামী-স্ত্রীকে৷

বৃহস্পতিবার সকাল সকাল নন্দীগ্রামের ৬৯ নম্বর বুথ কেন্দ্র ব্রজমোহন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোট দিতে এসে হতভম্ব হয়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র পট্টনায়েক ও তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা পট্টনায়েক। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে বুথে ঢুকে তারা জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা রয়েছে। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরেও ভোট দিতে পারলেন না পট্টনায়েক দম্পতি। ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হল তাদের। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের সাতগাছিয়া বুথকেন্দ্রে অভিযোগ উঠল ছাপ্পা ভোটের। এক দৃষ্টিহীন মহিলার সঙ্গে ইভিএম মেশিনের সামনে চলে যেতে দেখা গেল এক ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় ওই ব্যক্তি একজন তৃণমূল কর্মী।

আবার, নির্বাচন কমিশনের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বুথ কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। খবর পেতেই তাকে আটক করে পুলিশ। জানা যায়, তার নাম শেখ জিয়ারুল। যদিও গলায় ঝোলানো নির্বাচন কমিশনের কার্ডে নাম লেখা রয়েছে মোস্তাক আলী শার। আটক করে তাকে ধমক দেয় পুলিশ। ধরা পড়তেই মিনমিনে গলায় ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি কিচ্ছু জানি না স্যার। আমাকে এটা দিয়ে বলল মানুষের পরিষেবা করতে।” এই কথা শুনে রেগে কাঁই পুলিশ আধিকারিক তাকে ধমকে বললেন, “মিথ্যাচার করে পরিষেবা? খুব চালু না?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =