কলকাতা: রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ খুশি বিনোদন জগতের শিল্পীরা। কারণ, বিনোদন জগতের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, নাটক, যাত্রা, সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই লাইভ পারফরম্যান্স করাতেও কোনো বাধা রইল না। এই সিদ্ধান্তে খুশি বাংলার শিল্পীমহল। যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য একাধিক নিয়মবিধি মানতে হবে সকলকেই।
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সমস্ত অনুষ্ঠান করা যাবে দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেই জায়গার প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও যারা অনুষ্ঠানে আসবেন তাদের সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে, প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অনুষ্ঠান দেখতে হবে।
সরকারি ঘোষণার পরেই বেজায় খুশি বাংলার সংগীত জগত থেকে শুরু করে নৃত্যজগতের স্বনামধন্য শিল্পীরা। গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র জানাচ্ছেন, সরকারি ঘোষণার পরেই তিনি গত রবিবার কাঁকুরগাছিতে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে দর্শক হিসেবে আশা প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে, সকলেই মাস্ক পড়েছিলেন। এমনকি স্টেজে ও যেখানে পাঁচজন থাকার কথা, সেখানে চারজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ছিলেন। অন্যদিকে, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী জানাচ্ছেন, তিনি গত মার্চ মাসে লাইভ প্রোগ্রাম করেছিলেন। এখন প্রায় ৭ মাস পর লাইভ প্রোগ্রাম করার সুযোগ পেয়ে তিনি কখনোই হাতছাড়া করবেন না। এই সুযোগের জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে চলছে আনলক পর্ব। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে একাধিক পরিষেবা চালু করেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি। শুধুমাত্র লোকাল ট্রেন ছাড়া সব পরিষেবা ধীরে ধীরে শুরু করে দেওয়া হয়েছে, তবে সবকিছুই হচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়মবিধি মান্য করে। রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক করা হলেও, কাঁদিও কবে চালানো সম্ভব হবে সে বিষয়ে এখনও ইতিবাচক খবর মেলেনি।