ওয়াশিংটন: সৌরজগতের সবথেকে বেশি সম্ভাবনাময় গ্রহ মঙ্গলকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণায় দেখা গেছে এক বিশেষ আগ্রহ। লালগ্রহে কি মিলবে প্রানের সন্ধান? সুদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে যদি মানবজাতি বিপন্নতার শিকার হয় তাহলে কি মঙ্গলে যাওয়ার বিষয়ে কিছু ভাবা হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রিটেন সহ বিভিন্ন দেশ যেন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে গত ৩৫ বছর ধরে।
মঙ্গলে পাঠানো হয়েছে বেশ কিছু মহাকাশযান। কোনো কোনো মহাকাশযান আবার ছবিও তুলেছে মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের। তবে এই লালগ্রহে অবতরণ করে তার পৃষ্ঠদেশের রঙিন ছবি আগে দেখা যায়নি। আর এই অসাধ্য সাধন করে দেখালো এবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা।
শুক্রবার নাসা’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের বেশ কিছু হাই-রেজোলিউশনের রঙিন ছবি পোস্ট করা হয়, যেগুলি তাদের পাঠানো পারসিভারেন্স রোভার থেকে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা। নাসা’র প্রকাশিত এই ছবিগুলোতে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে নদী ও হ্রদের নিদর্শন স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সেখানের অনেক পাথরের ছবি দেখা গেছে, যেগুলো ৩৬ কোটি বছরের পুরনো হতে পারে বলে দাবি করছেন নাসা’র বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে ল্যান্ড করে নাসা’র এই পার্সিভারেন্স রোভার। ল্যান্ডিংয়ের সময় ৭ মিনিট কিছু যান্ত্রিক গলযোগ ধরা পড়লেও রোভারটি সফলভাবে পা রাখে লালগ্রহের মাটিতে। এই প্রসঙ্গে নাসা’র বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা ও সম্ভাবনার কথায় কান পাতলে শোনা যায়, এই রোভার মঙ্গলের বুকে প্রানের সন্ধান নিয়েই তবে ফিরবে পৃথিবীতে, কারণ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা’র এই বিশেষ পার্সিভারেন্স রোভার মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, এমনটাই দাবি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।