সংশোধিত বেতনে ত্রুটি! রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তোষ, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

সংশোধিত বেতনে ত্রুটি! রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তোষ, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

কলকাতা: রাজ্যের কলেজ অধ্যাপকদের সংশোধিত বেতনক্রম নিয়ে বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তোষ ক্রমশই বাড়ছিল এবার এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তির ক্রটিগুলি সংশোধন করে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে  অথচ, ইউজিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, এমফিল, পিএইচডি বা এমটেকের জন্য ইনক্রিমেন্টের কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকায় একে কেন্দ্রীয় বিধি লঙ্ঘন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।  তাছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যক্ষদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

যেখানে মাত্র ৪২-৪৫টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কলেজ।  সেখানে অধ্যক্ষরা ১০ হাজার টাকা গ্রেড পে ও ৩ হাজার টাকা ভাতা পাবে। বাকি পাঁচশোরও বেশি কলেজ যেখানে শুধু স্নাতকস্তরে পড়ানো হয়, সেখানকার অধ্যক্ষরা ৯ হাজার টাকা গ্রেড পে ও ২ হাজার টাকা ভাতা পাবে। সেক্ষেত্রে এই দু’টি কলেজের অধ্যক্ষদের দু’টি পৃথক ভাতার কথা বলা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে। এছাড়াও, মূলত ১লা জানুয়ারি ২০১৬ থেকে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিও তোলা রয়েছে।

মূলত যে বিষয়গুলি ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে একনজরে- ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বর্ধিত বেতন পাওয়া যাবে না অর্থাৎ চার বছরের প্রাপ্য বকেয়া পাবেন না শিক্ষকেরা। এমফিল, পিএইচ ডি থাকলে যে-ইনক্রিমেন্ট মিলত, তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের কলেজের অধ্যক্ষেরা যে-ভাতা পান, সাধারণ কলেজের অধ্যক্ষদের ভাতা তার চেয়ে কম হবে। কলেজ অধ্যক্ষদের চাকরির মেয়াদও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশে চার বছরে সীমাবদ্ধ হয়েছে। এত দিন স্নাতকোত্তর ও স্নাতক কলেজ অধ্যক্ষদের একই বেতন কাঠামো ও পদমর্যাদা ছিল। এ বার স্নাতকোত্তর কলেজের অধ্যক্ষরা অধ্যাপক ও স্নাতক কলেজের অধ্যক্ষরা অ্যাসোসিয়েটেড প্রফেসরের মর্যাদা পাবেন।

ইউজিসি সুপারিশ মেনে কলেজগুলির ক্ষেত্রে ২০১৭-এর পর রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে যে সব অধ্যক্ষ কাজে যোগ দিয়েছেন, চার বছর পর তাঁদের পুরোনো কলেজে ফিরে যেতে হবে। অধ্যক্ষ-পদের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অধ্যক্ষদের আবার পড়ানোর কাজে ফিরে যেতে হবে। এবং তখন তাঁদের বেতন ও ভাতা কমে সাধারণ শিক্ষকদের সমতুল হয়ে যাবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে মহার্ঘ ভাতারও কোনও উল্লেখ নেই। আদেশনামায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধিরও কোনও উল্লেখ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + twelve =