কলকাতা: ১১২ নম্বর জাতীয় সড়ক, যশোর রোডের গাছ কেটে ১৬ মিটার প্রশস্ত উড়ালপুল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধ শুরু হল নাগরিকদের সাক্ষর সংগ্রহ৷ যশোর রোডের গাছ রক্ষার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে৷
বারাসত থেকে বনগাঁ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত যশোর রোডের দু’ধারে যে গাছগুলি রয়েছে, তাদের বয়স দেশশো-দুশো বছর৷ আম্পানের আস্ফলন ঠেকিয়ে এলাকাবাসীকে রক্ষা করেছিল এই গাছগুলিই৷ এই গাছগুলি বহু পাখি-পতঙ্গের আশ্রয়৷প্রখর গ্রীষ্মে মেলে ছায়া৷ আবার বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই সব মহীরুহ৷ এই রাস্তায় যান চলাচল ও পণ্য পরিবহনে বিকল্প বন্দোবস্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে নাগরিকবৃন্দের তরফে৷ এই মর্মে গণসাক্ষর সহ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে৷ আগামী সোমবার ২১ অগাস্ট এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গণ স্বাক্ষর সহ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে৷
নাগরিকদের পরামর্শ, যশোর রোডের সমান্তরালে যে রেললাইনটি গিয়েছে, সেটিই হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের লাইফলাইন৷ পরিবেশ বান্ধব ট্রেনের সংখ্যা ও কামরা বাড়িয়ে সমস্যার সামাধান করা যেতে পারে৷ আমাদের পৃথিবী বিশ্ব উষ্ণায়নের সম্মুখীন৷ এমতাবস্থায় গাছ কাটা হলে তা প্রকৃতির জন্য আরও বিপজ্জনক হবে বলেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এমতাবস্থায় স্থানীয় নাগরিকদের আবেদন যশোর রোডের গাছগুলিতে অক্ষত রাখা হোক৷