কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে অসংখ্য কৃষক নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য পারি দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। অন্নদাতা কৃষকদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। বাংলায় একুশের নির্বাচনের আগে তাই সেই দেশব্যাপী কেন্দ্র বিরোধী কৃষক বিক্ষোভকেই পাখির চোখ করেছে বাম শিবির।
কৃষক আন্দোলনকে আলাদা মাত্রায় নিয়ে যেতে ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে রাজ্যের বামপন্থী দলগুলি। সেই সূত্র ধরেই এবার চলতি মাসের প্রজাতন্ত্র দিবসকে ‘কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিল বাম শিবির। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাকটর নিয়ে পথে নামবেন বাম নেতা কর্মীরা, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। প্রাক-নির্বাচনী আবহে শুক্রবার ১৬টি বামপন্থী ও সহযোগী দলের মধ্যে সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে গোটা জানুয়ারি মাস ধরেই মিটিং মিছিল সহ নানা কর্মসূচী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই বামেদের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে বিবৃতি দিয়ে চেয়ারম্যান বিমান বসু ‘কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবস’ পালনের কথা জানিয়েছেন।
বাম সূত্রের খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কেন্দ্র সরকারের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার ও কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবিতে একটি মিছিল বের করা হবে দলীয় সংগঠনগুলির তত্ত্বাবধানে। এছাড়া কৃষক বিক্ষোভের আবহে আরো একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে গোটা মাস ধরেই। জানা গেছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিলিপিতে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন লাল শিবিরের কর্মীরা। এছাড়া মহিলা কিষান দিবস পালন করা হবে ১৮ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে কৃষি সংক্রান্ত কেন্দ্র সরকারের তিনটি বিল পাশ হয় পার্লামেন্টে। সরকারের তরফ থেকে এই আইনের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নয়নের দাবি করা হলেও বিরোধী দল গুলি প্রথম থেকেই ছিল এই আইনের বিপক্ষে। তাঁদের দাবি এই আইন আদতে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই সাহায্য করবে, কৃষকদের নয়। এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা।