‘নৈতিক জয় হয়েছে, তৃণমূলের বিকল্প একমাত্র বাম’, বাবুলকে টক্কর দিয়ে বললেন সায়রা

‘নৈতিক জয় হয়েছে, তৃণমূলের বিকল্প একমাত্র বাম’, বাবুলকে টক্কর দিয়ে বললেন সায়রা

2acc94340882c613dbf20e1fc4208b34

কলকাতা:  বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ২০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম৷ ভোটে বাবুলকে টক্কর দেওয়ার পর আত্মবিশ্বাসের সুর তাঁর গলায়৷ 

আরও পড়ুন- বালিগঞ্জের ভোট শতাংশ ভাবাবে তৃণমূলকে, সুব্রতের থেকে অনেক পিছিয়ে বাবুল

একটি সাক্ষাৎকারে বাম প্রার্থা সায়রা শাহ হালিম বলেন, ‘‘আমাদের জনসমর্থন অনেকটাই বেড়েছে৷ আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে৷ বামেদের ভোট শেয়ার প্রায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে৷ এতদিন বলা হচ্ছিল তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি৷ সেটা আমরা ভেঙে দিয়েছে৷ তৃণমূলের বিকল্প সিপিএম৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সমর্থন পেয়েছি৷ মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছে৷ এই সমর্থনকে সঙ্গী করেই পরবর্তী নির্বাচনে আমরা লড়াই করব৷ খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে উঠে আসবে সিপিএম৷’’ 

সায়রা মনে করেন, মানুষ সভ্য সমাজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ তাঁর হয়ে বাম কর্মীরা শুরু থেকেই প্রচার করেছেন৷ যে সকল কমরেডরা মাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের শুভেচ্ছা জানান তিনি৷ বাম প্রার্থীর কথায়, ‘‘আমরা বালিগঞ্জে কঠিন লড়াই দিয়েছি।’’ 

একুশের বিধানসভা ভোটে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭১ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ সেই ব্যবধান অনেকটাই কমেছে উপনির্বাচনে৷ মাত্র ২০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন বাবুল৷ এ প্রসঙ্গে সায়রা বলেন, ‘‘আমরা পরিশ্রম করেছিলাম৷ মানুষ সাড়া দিয়েছে৷ যত এজেন্সি নামানো হোক, বিব্রত-হরয়ান করা হোক, মানুষের রায়কে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না৷’’ 

বালিগঞ্জে কড়া টক্কর দিলেও, আসানসোলে সেই তিমিরেই বামেরা৷ কেন? এ প্রসঙ্গে সায়রার মত, এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে৷ তৃণমূল হিংসার শাসন করছে৷ আর বিজেপি সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী৷ মানুষ এগুলো চাইছে না৷ তাঁর কথায়, বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থীকে নিয়ে মানুষ সন্তুষ্ট ছিল না৷ সে কারণে সংখ্যালঘু ভোটের অনেকটা অংশও তাঁর দিকে পড়েছে৷ 

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই প্রচারে নামেন বালিগঞ্জের সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সরাসরি সিপিএম-এর হয়ে ময়দানে না নামলেও তিনি বামসমর্থক হিসাবেই পরিচিত৷ ভোটে নামার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কে হেভিওয়েট, কে লাইটওয়েট জানি না, আমাদের আদর্শ হেভিওয়েট তাই মানুষের আমাদের পক্ষেই ভোট দেবেন।’