কলকাতা: ‘টুম্পা সোনা’র প্যারোডি বেরোনোর পর থেকে রাজনৈতিক মহলে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে বামেদের ব্রিগেড। আজ ঐতিহ্যবাহী ব্রিগেড প্রান্তরে ভোট পূর্ববর্তী প্রচারে সামিল হতে চলেছে লাল শিবির। তার আগে বক্তা তালিকা থেকে শুরু করে খাবারের মেনু, সবেতেই যেন রয়েছে দিনবদলের ছোঁয়া।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের অবস্থান এমনিতেই ঐতিহাসিক। তৃণমূল আর বিজেপিকে দূরে সরাতে এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে তাঁরা। এমনকি আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গেও জোট প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। এমতাবস্থায় বামেদের আজকের ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে সিদ্দিকী ছাড়াও থাকবেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু ব্রিগেড প্রশ্নেই অনিবার্যভাবে চলে আসে খাবারের ব্যবস্থার প্রসঙ্গ। জানা গেছে, এবার ব্রিগেডে মাঠ ভরানো সমর্থকদের জন্য বাম শিবিরের তরফ থেকে রাখা হচ্ছে রুটি সবজির প্যাকেট।
অবশ্য শুধু রুটি তরকারি নয়, জোগাড় করা হচ্ছে শুকনো খাবারও। এর আগে তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশে একবার ডিম ভাত খাওয়ানোর পর থেকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ব্রিগেড ভরানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তার ধারে কাছ দিয়েই যাচ্ছে না বাম দলগুলি। সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, একসঙ্গে এত রান্না হবে না। প্রতিটি এরিয়া কমিটি থেকে নির্দিষ্ট সময়ে এসে পৌঁছোবে রুটি তরকারি। মানুষের দরজায় ঘুরে ঘুরে ব্রিগেডের জন্য মুড়ি চানাচুরের মতো শুকনো খাবার সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কেন মেনু হিসেবে রুটি তরকারিকে বেছে নেওয়া হল? পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের আগে একেবারে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চাইছে লাল শিবির। সঙ্গে অবশ্যই থাকছে কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, জেলা থেকে আসা সমর্থকদের রাতে থাকার জন্য কলকাতায় কয়েকটি কমিউনিটি হল ভাড়া করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। সবমিলিয়ে আঠাশের ব্রিগেডে টুম্পা সোনার সাংস্কৃতিক বিবর্তনই শুধু নয়, রুটি তরকারির হাত ধরে এক সামগ্রিক দিনবদলের ইঙ্গিতই যেন ফুটে উঠছে হাত হাতুড়ি কাস্তের সমাবেশে।