happy
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে একের পর এক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেজায় খুশি সিপিএম, সিপিআই তথা অন্যান্য বাম দলগুলি। কিন্তু কেন? কারণ একটাই, তাদের লড়ার জায়গা বাড়ছে এবং সেই সূত্রে অতিরিক্ত আসন জেতার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যা ক’দিন আগেও বামেদের হাতের মধ্যে ছিল না। যেমন ধরা যাক পশ্চিমবঙ্গের কথা। কংগ্রেসের তুলনায় রাজ্যে সিপিএম তথা বামেদের ভোট বেশি হলেও তা রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ কোনও বিশেষ একটি বা দুটি লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূতভাবে সিপিএমের এমন কোনও ভোট নেই যাতে সেখান থেকে তারা অনায়াসে জিতে আসতে পারে।
সেই জায়গায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে তাদের জেতার সম্ভাবনা থাকতে পারে একাধিক কেন্দ্রে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে যদি তৃণমূলের জোট হয় তাহলে সেই মঞ্চে থাকবে না সিপিএম। তখন তাদের একাই লড়তে হবে। তাতে বামেদের আসন জেতার সম্ভাবনা কার্যত অনেকটাই কমে যাবে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলছে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এটাই চাইছিল সিপিএম। একই কথা প্রযোজ্য বিহারেও। সেখানে নীতিশ কুমার যদি শেষপর্যন্ত ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থেকে যেতেন তাহলে বিহারের চল্লিশটি লোকসভা আসনের মধ্যে সিপিআই বা সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের মতো দল কটি আসনে লড়ার সুযোগ পেত তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যেত। কারণ সেখানে তখন বেশি আসনে লড়ত আরজেডি, জেডিইউ এবং কংগ্রেস।
বাম দলগুলির ভাগ্যে হয়ত একটির বেশি আসন জুটতো না। কিন্তু নীতিশ বিরোধী মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ায় আসন লড়াইয়ের নিরিখে পরিসর বেড়েছে বাম দলগুলির। শীঘ্রই বিহারে আসন সমঝোতার কাজ চূড়ান্ত হয়ে যেতে চলেছে বলে খবর। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগের চেয়ে বামেদের বেশি আসন ছাড়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বামেদের লড়াইয়ের ক্ষেত্র বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে আসন জেতার সুযোগ। আর পরপর ঘটনা প্রবাহ এমন দিকে মোড়ে নিয়েছে যাতে কংগ্রেস তাদের দাদাগিরি দূরে সরিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি নমনীয় হয়েছে। তারা দ্রুত আসন সমঝোতা চাইছে। সবমিলিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বস্তি পাচ্ছে বামেরা।