নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সরকারি ওয়েবসাইটে সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এই আইনের দ্বারা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান ও জৈন শরণার্থীরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব পাবেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে তাঁরা ভারতে এসে থাকলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। আর তালিকায় মুসলিমদের রাখা হয়নি বলে সোচ্চার অ-বিজেপি দলগুলি। তবে সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কখনই তা কেড়ে নেওয়ার নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রচারে ঝড় তুলবে তা এদিনই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি’র প্রসঙ্গ তুলে ধরে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে যে মমতা ঝড় তুলবেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাম-কংগ্রেস। কারণ তৃণমূল এই প্রচারই করবে যে, তারা থাকতে একজন সংখ্যালঘুকেও পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। আর শাসকদলের এই বার্তা সংখ্যালঘুদের মনে যে ব্যাপক ছাপ ফেলবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বাম-কংগ্রেস একই ভাবে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেও সংখ্যালঘুরা নিশ্চিতভাবে শাসকদলের উপরই ভরসা রাখবেন। বাম-কংগ্রেস তাঁদের সুরক্ষা দিতে পারবে না, এটাই বাস্তব বলে মেনে নেবেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে অংশের ভোট বাম-কংগ্রেস পেয়েছিল, সেটাও এবার তাদের ঝুলিতে না আসার সম্ভাবনাই বেশি। উল্টোদিকে হিন্দু ভোট আরও বেশি এককাট্টা করতে পারবে বিজেপি। বিশেষ করে মতুয়া সমাজের প্রায় পুরো ভোটটাই যে গেরুয়া শিবিরের দিকে চলে আসবে তা স্পষ্ট। সবমিলিয়ে বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট শতাংশ আগের চেয়ে আরও কমার সম্ভাবনাই বেশি। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন আরও বেশি মাত্রায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ‘বাইনারি’ হতে চলেছে। তাই গতবারের মতো এই নির্বাচনেও এই দুটি দলই মূলত লাভবান হবে।
এটা স্বীকার করতেই হবে যে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি কোনও বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করা হয়, এই প্রচার আরও ব্যাপকভাবে করবেন দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব। যা নিশ্চিত ভাবে ভোটবাক্সে ডিভিডেন্ড দেবে তাদের।
আরও কতদিন বৃষ্টি? কালীপুজো’ও মাটি! আগামী এক সপ্তাহের ওয়েদার রিপোর্ট | West Bengal Weather Update