কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতির ওঠাপড়ার সঙ্গে যে নামটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা হল ব্রিগেড। লাল হোক বা গেরুয়া কিংবা সবুজ, ভোট যুদ্ধের আগে প্রচারের মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্রিগেডকে হাতিয়ার হিসেবে কমবেশি বেছে নিতে দেখা গেছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেই। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পারদ যতই চড়ুক না কেন, ব্রিগেড সমাবেশেই যেন তা পায় পূর্ণতা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ব্রিগেড থেকেই ফের পরিবর্তনের ডাক দিতে চলেছে বাম শিবির।
আজ, রবিবাসরীয় ছুটির দিনে অধিকাংশ রাজ্যবাসীর নজরই থাকবে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে। তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির বিরোধিতায় এবার ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে বামফ্রন্ট। এমনকি পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর উপস্থিতিও এদিনের ব্রিগেডকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা টানাপোড়েন জল্পনার পর শেষমেশ কারা আজ ব্রিগেডের মঞ্চে মাইক হাতে তুলে নেবেন? কারাই বা থাকবেন ব্রাত্য? আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক আজকের ব্রিগেড সমাবেশের সম্ভাব্য বক্তা তালিকা।
বাম সূত্রের খবর, দলের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি হিসেবে এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে প্রথমেই বক্তৃতা রাখবেন প্রবীন নেতা বিমান বসু। আর তারপরেই চমক হিসেবে বক্তৃতা দিতে উঠতে পারেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বামেদের ব্রিগেডে হাজির থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। যদিও বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তাঁর দলের গাঁটছড়া বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি এখনও, তবে ব্রিগেড উপস্থিতি মহাজোট সম্বন্ধে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তাই বহন করবে।
আব্বাস সিদ্দিকীর পর একে একে যাঁরা বলতে উঠবেন বলে মনে করা হচ্ছে তাঁরা হলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি। এছাড়া মাইক হাতে থাকবেন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপি সেক্রেটারি মনোজ ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের তরফ থেকেও এদিনের ব্রিগেডে থাকবে প্রতিনিধিত্ব। জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী ছাড়াও থাকবেন কংগ্রেসশাসিত ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। তবে এদিনের ব্রিগেডের অন্যতম আকর্ষণ মনে করা হচ্ছে তেজস্বী যাবকেই। মাস কয়েক আগেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সূত্রের খবর, এদিন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে ব্রিগেডে বক্তব্য রাখবেন তিনিও।