কলকাতা: ষাটের দোরগোড়ায় পৌঁছে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী৷ তাঁকে নিয়ে এখন জোর চর্চা৷ সেই রেশ কাটার আগেই দ্বিতীয়বার ছাদনাতলায় প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ৷ ৭৭-এ পৌঁছে তরুণী ভার্যায় মজলেন বিপত্নীক রাজনীতিক৷ জানিয়েছেন, নিজের এলাকাতেই বৌভাতের অনুষ্ঠান করবেন৷
অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন লক্ষ্মণের প্রথম স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠ৷ প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর সাত বছর পর ফের বিয়ে করলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা কংগ্রেসের বর্তমান রাজ্য সহ সভাপতি। জানা গিয়েছে, পাত্রী কলকাতার ফুলবাগানের বাসিন্দা৷ বয়স বিয়াল্লিশ৷ নাম মানসী দে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করার পর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এককালের দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বধূবরণটুকু বাকি। সম্ভবত নিজেকে সংসারে বাঁধতেই চাকরি ছেড়েছেন ‘মিসেস শেঠ’। লক্ষ্মণের বিয়ে নিয়ে কানাঘুষো শুরু হতে নিজেই সবটা জানালেন কংগ্রেস নেতা৷ তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যা শুনেছ ঠিক। আমি বিয়ে করেছি। কলকাতার পাশাপাশি হলদিয়াতেও রিসেপশন হবে। বাকি কথা পরে বলব।’’ সম্ভবত, আগামী ২৪ জুন হলদিয়ায় রিসেপশন হবে৷ বধূবরণের জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে নামি শিল্পীদের নিয়ে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও পাকা।
তমলুক থেকে জিতে তিন বার সাংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তৎকালীন দাপুটে এই সিপিএম সাংসদকে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৪ সালে দল থেকে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এর পর তিনি নিজে একটি দল গড়েন। পরে সেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যান লক্ষ্মণ। ২০১৮ সালে বিজেপি থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি৷ ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন৷
১৯৭৯ সালে তমালিকার সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মণের৷ ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। লক্ষ্মণ এবং তমালিকার দুই ছেলেও রয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছেলে পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>