পকেটে টাকা নেই, বৌভাতের জোড়া রিসেপশন নিয়ে চাপে পড়েছেন লক্ষ্মণ শেষ

পকেটে টাকা নেই, বৌভাতের জোড়া রিসেপশন নিয়ে চাপে পড়েছেন লক্ষ্মণ শেষ

কলকাতা: ৭৭-এ দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসেছেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ ৮০-র দোরগোড়ার পৌঁছে তরুণী ভার্যায় মজেছেন বিপত্নীক রাজনীতিক৷ জানিয়েছিলেন, নিজের এলাকাতেই বৌভাতের অনুষ্ঠান করবেন৷  কিন্তু, এখনও নববধূকে নিয়ে হলদিয়ার রানিচকে নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না প্রাক্তন বাম নেতা। অগত্যা ফুলশয্যা হল তাঁর মেডিকেল কলেজের গেস্ট হাউজে।

হলদিয়ার একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণের জীবনে এখনও প্রেম ভরপুর। গত সোমবার মানসী দে নামে এক মধ্যবয়সী মহিলাকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি৷ মাত্র দেড় মাসের পরিচয়ে মানসীর সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ তাঁর এই সিদ্ধানতে দুই ছেলে ও পুত্রবধূরা যারপরনাই অবাক। তাঁরা এই বিয়ে মেনে নেননি বলেও খবর।

অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন লক্ষ্মণের প্রথম স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠ৷ প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর সাত বছর পর ফের বিয়ে করলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা কংগ্রেসের বর্তমান রাজ্য সহ সভাপতি। জানা গিয়েছে, পাত্রী কলকাতার ফুলবাগানের বাসিন্দা৷ বয়স বিয়াল্লিশ৷ নাম মানসী দে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করার পর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এককালের দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বধূবরণটুকু বাকি।

শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন লক্ষ্মণ শেঠ। রাজনৈতিক বিষয়েই ছিল ওই বৈঠক৷ এর পরেই হলদিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে একাই পাড়ি দেন তিনি৷ কিন্তু একা কেন? ছেলেরা বউরা কি মেনে নিচ্ছেন না? বিষয়টি পারিবারিক বলেই এড়িয়ে যান লক্ষ্ণণ৷
 

বয়স ৭৭ হলেও তিনি এখনও বেশ শক্ত সমর্থই রয়েছেন। তবে মুশকিল হল, বিয়ের পর খানিক উদ্বেগে রয়েছেন তিনি। তবে তা পরিবার নিয়ে নয়৷ তাঁর চিন্তা এখন বৌভাতের রিসেপশন নিয়ে। বিয়ে করেছেন, কিন্তু এখনও লোক খাওয়ানো হল না যে তাঁর!  এ প্রসঙ্গে প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্ণণ বলেন, “আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। একটা রিসেপশন করলে হবে না। দুটো করতে হবে। একটা হলদিয়ায়, একটা কলকাতায়। কিন্তু চিন্তা টাকা পয়সা নিয়ে। আমার হাতে এখন তো টাকা পয়সা তেমন নেই।”