নয়াদিল্লি: সম্প্রতি প্রবীন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দেশের প্রধান চার বিচারপতিদের ভুমিকা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে তাঁকে দোষি সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২০ আগস্ট তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
২৭ জুন একটি টুইট করে প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেছিলেন, ৬ বছর ধরে ভারতের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে দেশের শীর্ষ আদালতের ভুমিকাও সমান ভাবে ছিল। এর পাশাপাশি কয়েকদিন আগে প্রশান্ত ভূষণ দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেকে নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে একটি ছবিতে দেখা যায়, বোবদে একটি হার্লে ডেভিডসন বাইকে বসে আছেন, মাস্ক ও হেলমেট ছাড়াই। এই টুইটে ভূষণ লেখেন, 'এমন একটা সঙ্কটের সময় প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট ছাড়াই বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ এই লকডাউনে দেশের নাগরিকেরা সুবিচার পাচ্ছেন না।'
এরপর বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার ফৌজদারি অপরাধের মামলায় নোটিশ পাঠানো হয় প্রশান্ত ভূষণকে। মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে টুইট করা হয়েছে, তা আদালতের স্বাস্থ্যকর সমালোচনা বলে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আদালত আরও জানিয়েছে, ৩০ বছর ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত প্রশান্ত ভূষণের কাছ থেকে জনসাধারণের সামনে সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির সম্মানহানি কোনও ভাবেই আশা করা যায় না।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করেছে প্রশান্ত ভূষণকে। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ আগামী ২০ আগস্ট প্রশান্তের শাস্তি ঘোষণা করবেন৷ এ বিষয়ে প্রশান্ত ভূষণের বক্তব্য, আদালতের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করা তাঁর বাক স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে, আদালত অবমাননার মধ্যে নয়। তাঁর মতে, শীর্ষ বিচারপতিদের সমালোচনা আদালতের মর্যাদাহানি কিংবা তার কর্তৃত্ব খর্ব করেনা৷