কলকাতা: হাই কোর্টে জাল নথি পেশ করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল খোদ আইনজীবীর বিরুদ্ধেই। মামলা শুরুর পরেই বেপাত্তা তিনি। আগামী ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অভিযুক্ত আইনজীবী অরিন্দম রায়কে বাদির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বলা হয়েছে, এই নির্দেশ কার্যকর করতে না পারলে ব্যর্থতার দায় নিতে হবে পুলিশকেই। আগামী দিনে এমন আইনজীবীর লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে ভাববে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, একজন আইনজীবী এমন জালিয়াতির আশ্রয় নিলে তা বিচার ব্যবস্থার জন্য ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুন- মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা, পায়ে সর্ষে’, SSKM থেকে কোন রূপে বেরলেন মদন?
আইনজীবী অরিন্দম রায় মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা৷ এর আগেও হাইকোর্ট তাঁকে জাল নথি পেশের দায়ে মোটা টাকা জরিমানা করেছিল। পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি চক্র প্রতারণার জাল বুনেছিল৷ বহু প্রার্থীকে ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎও করে তারা। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে ধরা হয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে হাই কোর্টে তাদের জামিনের আবেদন করা হয়৷ সেই মামলায় ধৃতদের হয়ে অরিন্দম রায় সর্বত্র জামিনের আবেদনের নথি দিলেও পিপি অফিসে তাদের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের এপর একটি থানায় থাকা তুলনামূলক হালকা মামলার নথি জমা দেন। সেই অনুযায়ী জেলা পুলিশ কেস ডাইরি পাঠায়। সেই নথি দেখে সরকারি কৌঁসুলি জামিন খারিজের আপত্তিও করেননি। আদালতের কাছে নবগ্রাম মামলার নথি দেওয়ায় জামিন হয়ে যায় অভিযুক্তদের।
এতদিন পর অন্য একটি থানার মামলায় ওই অভিযুক্তদের জন্যেই জামিনের জানান অন্য আইনজীবী। তখনই সরকারি আইনজীবী রুদ্রদীপ্ত নন্দীর সন্দেহ হওয়ায় এবং তিনি মূল বিষয়টি সামনে আনেন। অরিন্দম রায়কে ডেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে আদালত। এদিন সকালে শুনানির সময় আদালত রীতিমতো তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়। দুপুরের টিফিনের পর ফের মামলা উঠতেই ওই আইনজীবী উধাও হয়ে যান৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>