টাটা সন্সের প্রথম মহিলা ডিরেক্টর, ছিলেন সমাজসেবক, লেডি নবজীববাই টাটা এক অনুপ্রেরণার নাম | Lady Navajbai Tata inspiration history

Lady Navajbai Tata inspiration history কলকাতা: সকলকে বিদায় জানিয়ে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন রতন টাটা৷ তাঁর মৃত্যুতে যখন গোটা দেশ বিহ্বল, তখন চর্চায় টাটা…

Lady Navajbai Tata inspiration history

Lady Navajbai Tata inspiration history

কলকাতা: সকলকে বিদায় জানিয়ে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন রতন টাটা৷ তাঁর মৃত্যুতে যখন গোটা দেশ বিহ্বল, তখন চর্চায় টাটা পরিবারের এক নারী৷ তিনি আর কেউ নন লেডি নবজীবাই টাটা৷ যিনি সম্পর্কে রতন টাটার ঠাকুমা৷ (Lady Navajbai Tata inspiration history)

লেডি নবজীবাই টাটার জন্মবার্ষিকী Lady Navajbai Tata inspiration history

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল লেডি নবজীবাই টাটার জন্মবার্ষিকী৷ তিনি ছিলেন টাটা পরিবারের প্রথম নারী পরিচালক৷ তাঁর জীবন কাহিনী শুধু টাটা গ্রুপের ইতিহাসে নয়, বরং ভারতীয় সমাজে এক মাইলফলক। তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি৷ ১৯১৮ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি স্বামীকে হারান৷ কিন্তু, তিনি ভেঙে পড়েননি৷ বরং স্বামীর বিশাল সম্পত্তি এবং দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।

 

১৯২৫ সালে টাটা সন্সের ডিরেক্টর হন

১৮৭৪ সালে জন্ম নবজীবাইয়ের৷ ১৯২৫ সালে স্বামী হারা নবজীবাই টাটা সন্সের ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব নেন৷ ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত শক্ত হাতে টাটা গোষ্ঠীর হাল ধরেছিলেন তিনি৷ তবে তাঁর অবদান এবং নেতৃত্ব কেবলমাত্র ব্যবসায়িক জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ছিলেন একজন দাতা ও সমাজসেবক।

 

উদারতার জন্য স্মরণ করা হয় আজও

লেডি নবজীবাই টাটার উদারতার জন্য তাঁকে আজও স্মরণ করা হয়। এক সমাজকর্মী একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নবজীবাই৷ ‘হোমস্টেড’ নামক জায়গাটি দান করে দেন তিনি৷ সেই সঙ্গে ৩ লক্ষ টাকার অনুদানও দেন এই মহীয়সী নারী। সেই সময়ের নিরিখে  এটি ছিল বিশাল অঙ্কের অর্থ।

কী বলেছিলেন রতন টাটা?

১৯২৮ সালে তিনি মুম্বইয়ে স্যার রতন টাটা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে দরিদ্র ও অভাবী নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। ১৯৩২ সালে স্যার রাতন টাটা ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন হন লেডি নবজীবাই টাটা। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ৷ জেআরডি টাটা ছিলেন তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল৷ তিনি হামেশাই নবজীবাইয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতেন৷ তাঁর কথা মতো সিদ্ধান্তও নিতেন৷ রতন টাটা একবার তাঁর ঠাকুমার প্রশংসা করে বলেছিলেন, “নবজীবাই টাটা ছিলেন সে যুগের এক অসাধারণ নারী, যার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।”

 

হরিশ ভট্ট লিখেছেন, “লেডি নবজীবাই টাটার উদারতা অনেক মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে, তবে তাঁর অসামান্য সাফল্য অল্প কিছু মানুষের কাছেই পরিচিত।”

লেডি নবজীবাই টাটা জীবনভর সমাজসেবার কাজ করে গিয়েছেন৷ জামশেদজি টাটার আদর্শে টাটা গোষ্ঠীকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি৷ ১৯৬৫ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। নবজীবাইয়ের জীবনকাহিনী নারী ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। কর্মের মধ্যে দিয়ে তিনি আজীবন আমাদের মধ্যে জীবিত থাকবেন।

 

 National: Ratan Tata’s passing leaves India mourning. As the nation grieves, the spotlight turns to his grandmother, Lady Navajbai Tata. An icon of female empowerment and philanthropy, her legacy continues to inspire. She was the first female director of Tata Sons.