আরও কাছে রাতের আকাশ, খুলছে দেশের প্রথম নাইট স্কাই স্যাংচুয়ারি

আরও কাছে রাতের আকাশ, খুলছে দেশের প্রথম নাইট স্কাই স্যাংচুয়ারি

নয়াদিল্লি:  রাতের আকাশে তারাদের দেশে হারিয়ে যাওয়ার সাধ অনেকের মনেই থাকে৷ কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না অনেকেরই৷ ক’জন আর পারে বিদেশে গিয়ে সাধ পূরণ করতে৷ তবে এবার তারা দেখার সুযোগ মিলবে ভারতেই৷ 

আরও পড়ুন- উন্মোচিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিবমূর্তি! এর উচ্চতা কত? কোথায় গেলেই বা মিলবে দেখা

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারা দেখার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে পর্যটকরা টেলিস্কোপে চোখ রেখে পৌঁছে যেতে পারেন তারাদের দুনিয়ায়৷ চাক্ষুস করেন নানা  গ্রহ, নক্ষত্র, গ্রহাণু, ধূমকেতুদের। এ বার সেই সুযোগ মিলবে ভারতের মাটিতে। তারা দেখার জন্য আর দূর দেশে পাড়ি দিতে হবে না৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাতের আকাশে চোখ রেখে সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন দেশেরই এক প্রান্তে। পূর্ব ভারতের লাদাখের হ্যানলেতে চালু হতে চলেছে দেশের প্রথম ‘নাইট স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারি’ বা রাতের আকাশ দেখার উদ্যান। সোমবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাধাকৃষ্ণ মথুর এই উদ্যানের উদ্বোধন করবেন।

গত বছর ঘোষণা করা হয়েছিল, লাদাখের হ্যানলে গ্রামে গড়ে তোলা হবে অ্যাস্ট্রো ট্যুরিজম। কিন্তু কবে থেকে এই অ্যাস্ট্রো ট্যুরিজমের সূচনা হবে, কবে থেকে পর্যটকরা হ্যানলের এই অভয়ারণ্যে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন, সেই সময় তা উল্লেখ করা হয়নি। অবশেষে জানা গেল রাতের আকাশ ভ্রমণের দিনক্ষণ৷ 

মহাকাশ পর্যবেক্ষণ নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহ বাড়াতেই এই উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে৷ ‘লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল’-এর উদ্যোগে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর সহায়তায় উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়েছে৷ মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এমনটাই জানিয়েছিলেন৷ 

চাংথাং অভয়ারণ্যের অংশ হিসাবেই এই ‘নাইট স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারি’টি চালু করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম উঁচু এই নাইট স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারিতে পর্যটকদের জন্য থাকবে ডবসোনিয়ন নামের বিশেষ টেলিস্কোপ৷ এর থেকে স্থানীয় মানুষও উপকৃত হবে বলে আশাবাদী প্রশাসন৷ এই উদ্যানের লাদাখের পর্যটন শিল্পে বৈচিত্র নিয়ে আসবে৷ সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে এই অঞ্চলের৷ সেই লক্ষ্যে ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে৷ তাঁদের শেখানো হয়েছে কী ভাবে টেলিস্কোপগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এই অভয়ারণ্যের উদ্বোধন হতেই কাজে যোগ দেবেন ১৮ জন৷  বাকিদের পরের বছর নিযুক্ত করা হবে। আপাতত ভার্চুয়ালি এই উদ্যানের উদ্বোধন করা হবে বলেই খবর। 

আশা করা হচ্ছে লাদাখের এই ‘নাইট স্কাই স্যাংচুয়ারি’ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যেও হ্যানলের গুরুত্ব তুলে ধরবে। হ্যানলে নদীর উপত্যকায় অবস্থিত এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই এক সময় ছিল প্রাচীন লাদাখ ও তিব্বতের মধ্যে বাণিজ্য চলত। এখানে রয়েছে সপ্তদশ শতাব্দীর প্রাচীন গুম্ফা। এবার লাদাখের এই গ্রাম ভরে উঠবে তারায়৷