নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী৷ তিনি শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রীই নন৷ বিশ্ব রাজনীতির দরবারে জনপ্রিয় নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও সুবিশাল৷ সেই তালিকা বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদেরও হার মানায়৷ অথচ খুব সধারণ একটা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন নমো৷
জন্ম গুজরাতের বড়নগরে৷ বাবা ছিলেন চা বিক্রিতা৷ কৈশোরকালে বড়নগর রেলস্টেশনে বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতেন তিনিও৷ এ কাহিনী অবশ্য কারও অজানা নয়৷ প্রধানমন্ত্রী নিজে অসংখ্যবার তাঁর শৈশব ও কৈশোরের কাহিনী শুনিয়েছেন৷ নিজের পরিচয় দিয়েছেন চাওয়ালা হিসাবেই৷ ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে এটাই ছিল তাঁর ইউএসপি৷ তবে সেই সাদামাটা জীবন থেকে আজ দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন তিনি৷
খুব ছোট বয়সেই স্বামী বিবেকানন্দের জীবন তাঁকে বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল৷ মাত্র আট বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্থানীয় শাখায় তাঁর রাজনৈতিক গুরু লক্ষ্মণরাও ইনামদারের সংস্পর্শে আসেন। তিনিই মোদীকে সঙ্ঘের বালস্বয়ংসেবক হিসাবে দলে নেন৷ পরবর্তী কালে মোদী সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন এবং গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন৷ সেখান থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ যা মোটেও সহজ বিষয় নয়৷ জ্যোতিষিরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্ম ছকের একাধিক শুভ যোগই তাঁকে সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছে দিয়েছে।
১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর কুষ্টি বিচার করে জ্যোতিষিরা বলছেন, জন্মের সময় চন্দ্র ও মঙ্গল একসঙ্গে জন্মছকে উপস্থিত ছিল মোদীর। গ্রহের এই অবস্থান তাঁর জন্য অত্যন্ত শুভ ফল দায়ক হয়। এর প্রভাবেই মোদী আত্মবিশ্বাস,সাহস, ক্ষমতা, সম্পদ ও দৃঢ় শক্তি লাভ করেন। জন্মছকে মঙ্গলের শুভ অবস্থানের জন্যই তিনি কঠোর পরিশ্রমী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। নমোর জীবন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে তাঁর মধ্যে এই সমস্ত গুণাবলীর পাশাপাশি অন্যকে অনুপ্রাণিত করে তোলার ক্ষমতাও রয়েছে। যা তাঁর বক্তব্যে ও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত নানা সরকারি প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।
এটুকুই নয়৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মছকে রয়েছে শত্রুহন্তা যোগও৷ যার ফলে তিনি খুব সহজেই নিজের শত্রুদের পরাজিত করতে পারেন। শত্রুহন্তা যোগের প্রভাবেই খুব সহজে বিরোধীদের দমিয়েও রাখতে পারেন মোদী। এই যোগ তাঁর আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে৷ মোদী বৃশ্চিক রাশির জাতক৷ সেই সঙ্গে তাঁর জন্মছকে উপস্থিত শত্রুহন্তা যোগ তাঁকে গম্ভীর ও নির্ভিক করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে অনেক সময় অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁকে৷ কিন্তু সেই সিদ্ধান্তও তিনি নিয়েছেন নির্ভয় হয়েই৷
নরেন্দ্র মোদীর জন্মছকে রয়েছে রাজযোগও। তাঁর কুণ্ডলীতে চন্দ্রের উপস্থিতি তাঁকে রাজযোগ প্রদান করেছে। তবে সেই রাজযোগ খুব একটা প্রবল না হওয়ায় প্রথম জীবনে তাঁকে বেশ সংগ্রাম করতে হয়৷ পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি রাজ সাফল্য পান৷
নমোর জন্মছকে লুকিয়ে রয়েছে আরও একটি যোগ৷ যা তাঁকে এনে দিয়েছে জগৎজোড়া প্রসিদ্ধি৷ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েযছে দেশ-বিদেশের সর্বত্র। এর অন্যতম কারণ যাঁর কুণ্ডলীতে থাকা প্রসিদ্ধি যোগ। জ্যোতিষিরা বলছেন, জন্মছকে থাকা অনুরাধা লগ্নের কারণে তাঁর এই বিপুল জনপ্রিয়তা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>