‘দেখ কেমন লাগে’, জেলা পরিষদ সবুজ হতেই শুভেন্দুকে টুইট খোঁচা কুণালের‌

‘দেখ কেমন লাগে’, জেলা পরিষদ সবুজ হতেই শুভেন্দুকে টুইট খোঁচা কুণালের‌

 কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশ শুরু হতেই নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। কারণ এখানে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন কুণাল ঘোষ৷ আর তাঁর টক্কর ছিল সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশ হতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন,  এখানে বিজেপি ছিল না। কিন্তু, নন্দীগ্রামে পদ্ম ফুটেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বাকি ৮টিতে তৃণমূল৷ এর পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ভোট গণনা শুরু হতে দেখা গেল শুভেন্দুর হুঙ্কারই সার। বরং চারিদিকে ফুটেছে জোড়া ফুল৷ 

গণনা যত এগিয়েছে ততই মুখ লুকিয়েছেন শুভেন্দু। কার্যত মুখে কুপুল আঁটেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরাজয় নিশ্চিত দেখে বলেন, ‘আমি এই ভোট মানি না। এতে মানুষের রায়ের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেনি।’  বুধবার সকাল হতেই টুইট বাণ ছুড়তে শুরু করেন কুণাল ঘোষ৷  শুভেন্দুকে নিশানা করে তিনি লেখেন, ‘লোডশেডিং বিধায়ক শুভেন্দু তো ‘ব্লক স্তরের নেতা’ হয়ে গেলেন! নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরে বেইমান বিধ্বস্ত। সুতরাং ১৯৫৬ ভোটে ভেসে ওঠা লোডশেডিং বিধায়ককে আবর্জনায় ফেলে দেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জিতেছে বিজেপি এবং একটিতে তৃণমূল৷ কিন্তু জেলা পরিষদের ৫টি আসনের লড়াইয়েই এগিয়ে শাসক শিবির। নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকে জেলা পরিষদে তিনটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছে রাজ্যের শাসক দল। ২ নম্বর ব্লকের দুটি জেলা পরিষদ আসন বিজেপি জিতেছে। 

এদিন টুইটে কুণাল আরও লেখেন, ‘‌দেখ কেমন লাগে। লোডশেডিং চক্রান্তের জবাব, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের লিড ১০ হাজার ৪৫৭।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + eight =