কলকাতা: ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১২টা বেজে ১৩ মিনিট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য শেষবার অনুরোধ করেছিল বিধাননগর থানার পুলিশ। মাইকিং করে বলা হয়, ‘দু’মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে এলাকা খালি করে দিতে হবে।’ তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেননি ২০১৪ টেট-উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা৷ অন্যদিকে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হাজির সিপিআইএম এবং বিজেপির নেতানেত্রীরা৷ রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে উঠল রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান। ১২টা ১৭ মিনিটে ময়দানে নামে পুলিশ৷ ১০ মিনিটের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় করুণাময়ীর আন্দোলন স্থল। আন্দোলনকারীদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে৷ এই ঘটনায় টুইটে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- করুণাময়ীকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ অপর্ণার, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ধিক্কার’ জানালেন ঋদ্ধি
এদিন টুইট করে শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?’
এর জবাবে কুণালের পাল্টা টুইট, ‘তাহলে রেল, সেনাবাহিনী–সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় যাঁরা পাশ করেও চাকরি পাননি, তাঁদের সকলকে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে কেন্দ্রের অফিসগুলির সামনে ধর্ণা অবরোধে বসলে সেটাও যুক্তিসম্মত হবে তো? বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? ২০১৪ সাল থেকে ৮×২=১৬ কোটি চাকরির তালিকা প্রকাশ হোক।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>