‘BJP’তে দমবন্ধ অবস্থা, তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শুভেন্দু’, কুণালের দাবিতে শোরগোল

‘BJP’তে দমবন্ধ অবস্থা, তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শুভেন্দু’, কুণালের দাবিতে শোরগোল

কলকাতা:  বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো ঝড় তুলে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ দল বদলেই আক্রমণাত্মক রূপ নেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমোও৷ কিন্তু শুভেন্দুই নাকি এবার বিজেপি ছেড়ে ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি’তে শুভেন্দুর দমবন্ধ হয়ে আসছে৷ কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবারকে বিজেপি পুরো সাইনবোর্ড করে দিয়েছে৷ তাই এবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা৷’’

আরও পড়ুন- বুধ থেকেই বিপদ, কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে পুরভোটে বিজেপি’র অবস্থা প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। ঠিক সেই সময়েই বোমা ফাটান তৃণমূসের মুখপাত্র৷ শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে ফিরতে চান বলে মন্তব্য করেন কুণাল৷ তিনি বলেন, “সবাই জানে, বিজেপিকে ভালোবেসে দল ছাড়েননি  শুভেন্দু। তিনি ওখানে গিয়েছিলেন ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে। কিন্তু এখন সেখানে দমবন্ধ হয়ে আসছে তাঁর। তাই পুরনো দলে ফিরতে চাইছেন।”  প্রসঙ্গত, এদিন বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে গিয়েও একই দাবি করেন কুণাল ঘোষ৷ সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন বিজেপি ছেড়ে আসা সব্যসাচী দত্ত৷ সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, “ফিরতে চাইলেই ফেরানো হবে না।” 

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর এই প্রথম কাঁথি পুরসভা হতে চলেছে অধিকারী পরিবারহীন৷ জল্পনা ছিল অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দ্যুকে পুরভোটের প্রার্থী করবে বিজেপি৷ কিন্তু সেই জল্পনা ভেস্তে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির৷ এ প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “তৃণমূলে থাকতে অধিকারী পরিবারের সদস্যরা সকলেই হয় মন্ত্রী,সাংসদ নয়তো বিধায়ক ছিলেন। পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন৷ কিন্তু আদি বিজেপির চাপে কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবার এখন সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে।”  বিরোধী দলনেতার পদ নিয়েও এদিন আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি কুণাল৷ তিনি বলেন, “কে বিরোধী দলনেতা, সেটা নিয়েও বিজেপিতে লড়াই চলছে।

লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়ক নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা শান্তনু ঠাকুর। তাই তো শুভেন্দু এখন তৃণমূলের দরজায় ঠকঠক করছে। বিজেপিতে থাকাটা শুভেন্দুর কাছে বাধ্যবাধকতা মাত্র।” কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *