ভারত ছাড়তে হবে না যাদবপুরের CAA বিরোধী বিদেশি পড়ুয়াকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিলে দেখা গিয়েছিল বলে যাদবপুরের পোলিশ পড়ুয়া কামিল সিডসিরিস্কিকে এই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন পোল্যান্ডের ওই পড়ুয়া। অবশেষে দেশ ছাড়ার নির্দেশ তুলে নেওয়ার পাল্টা নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবারের শুনানিতে সাফ জানানো হয়েছে, ভারত ছাড়তে হবে না ওই পড়ুয়াকে।

কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিলে দেখা গিয়েছিল বলে যাদবপুরের পোলিশ পড়ুয়া কামিল সিডসিরিস্কিকে এই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন পোল্যান্ডের ওই পড়ুয়া। অবশেষে দেশ ছাড়ার নির্দেশ তুলে নেওয়ার পাল্টা নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবারের শুনানিতে সাফ জানানো হয়েছে, ভারত ছাড়তে হবে না ওই পড়ুয়াকে।

কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হয়, ভিসা হোল্ডার একজন বিদেশি পড়ুয়া ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনের বিরোধিতা করতে পারেন না। একই সুর শোনা গেছে হাইকোর্টে কেন্দ্র সরকারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির কথায়। সেই নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই পড়ুয়া। প্রাথমিক অবস্থায় আদালতের তরফে কামিলের বিরুদ্ধে দেশ ছাড়ার নোটিসে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে সেই মামলাটির বুধবারের শুনানিতে বলা হয়েছে, পোলিশ ছাত্রটি মিছিলে যোগদান করেননি। তাঁকে ওই সময় ওই স্থানে দেখা গেছে।  মিছিলটি অতিক্রম করা বা তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন  বর্তমানে যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের ওই ছাত্রটি। সেই সময়ে ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। তাই মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রটিকে বিদেশ ফেরত পাঠানোর কোনও নির্দেশিকা জারি করা যায় না। তাছাড়া ওই ছাত্রের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র আগেও জানিয়েছিলেন যে, মিছিল চলাকালীন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। একজন সাংবাদিক তাঁর ছবি তুলেছিলেন। মিছিলের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই ওই ছাত্রের।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনে সামিল ছিলেন কামিল সিডসিরিস্কি। যাদবপুরের ছাত্র ওই তরুণ পোল্যান্ডের নাগরিক। তাই ভারতের আইনের বিরোধিতা কেন করবেন ওই বিদেশি পড়ুয়া, সেই অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার জেরে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নোটিস পাঠিয়েছিল ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। পাল্টা মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি শুনানিতে জানিয়েছেন, দেশ ছাড়তে হচ্ছে না ওই পোলিশ পড়ুয়াকে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 7 =