ভিড় এড়াতে কমবে আলো! দুর্গাপুজোয় থিমের ভাবনা বাতিল

২৫ জনের বেশি মানুষকে একসঙ্গে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। যারা মুখাবরণ পরে আসবেন না তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে তাদের মুখাবরণ বিতরণ করতে হবে।

কলকাতা: বাঙালির প্রাণের পুজো আসতে আর মাত্র ১০০ দিনের অপেক্ষা। কিন্তু দেশ জুড়ে করোনার দাপট বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই এবারের দুর্গাপুজোয় অন্য কলকাতা দেখা যেতে পারে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার পুজো উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করার বার্তা দিয়েছেন। তাতেই মেতে উঠেছে পুজো কমিটিগুলি। যদিও এবারে ‘থিমপুজো’ করতে নারাজ কলকাতার নামকরা পুজো কমিটি মুদিয়ালি ক্লাব।

আরও পড়ুন: মমতাকে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য, রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের অভিযোগ

 
বৃহস্পতিবার দুর্গোৎসব ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে এবছরের দুর্গাপুজোর আনন্দ কিছুটা ম্লান হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষ রাতে ঠাকুর পরিদর্শনে বেরোন। কেননা, পুজোর চারটে দিন কলকাতা সেজে ওঠে রংবেরঙের আলোয়। রাজপথ থেকে অলি-গলি সব জায়গাতেই রকমারি আলোর বাহারে ঢেকে যায় রাতের অন্ধকার। ক্লাব থেকে ক্লাবে থিমের পরিদর্শনে কলকাতার রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। কিন্তু, এবছর অতিমারীর কথা মাথায় রেখে ফোরাম পুজো কমিটিগুলিকে আলোর ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘কাছে পেলে তোমার চুল কামিয়ে দেব’, এবার অনুব্রতর নিশানায় রাহুল

ফোরামের মতে, বিশেষত আলোর বাহার দেখতেই মানুষ পুজোর চারদিন রাতে কলকাতার ঠাকুর দেখতে বেরোন। তাই, রাতের এই অত্যধিক ভিড় কমাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু। তিনি বলেন, এবছর কোনও একটা সময় না বেরিয়ে যদি মানুষ সারাদিন ধরে ঠাকুর দেখেন, তাহলে পুলিশ এবং পুজো কমিটি উভয়েই ভিড় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এর পাশাপাশি জানানো হয়, সমস্ত পুজো কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগত দর্শনার্থীদের হাতে স্যানিটাইজার দিতে হবে। দফায় দফায় প্রতিদিন প্যান্ডেল ও প্রতিমা স্যানিটাইজ করা হবে বলে জানিয়েছে পুজো উদ্যোক্তারাও।

২৫ জনের বেশি মানুষকে একসঙ্গে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। যারা মুখাবরণ পরে আসবেন না তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে তাদের মুখাবরণ বিতরণ করতে হবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সকল পুজো কমিটি এই গাইডলাইন মানতে রাজি হয়েছে বলে জানায় ফোরাম। এ বিষয়ে মুদিয়ালি ক্লাব কমিটির সদস্য মনোজ শাহ বলেন, ‘চিরাচরিত প্রথা মেনেই পুজো হবে এবছরও। যদিও জাঁকজমক ছাড়াই মা’কে নিয়ে আসা হবে।’ মণ্ডপের বাইরে থেকেই যাতে মানুষ মা’কে দর্শন করতে পারে সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এবছর আমাদের ক্লাব কোনও থিম বা অত্যাধুনিক কারুকার্যের পথে যেতে চাইছে না।’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − two =