মুম্বই: বর্তমান রাজনীতি, সমাজনীতির বিরুদ্ধচারণ করে বহুবার কট্টরপন্থীদের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। প্রতিবাদে পাছে প্রাণসংশয় হয়, তাই স্বামীকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ। তবে তাঁকে থামানো গেল কই। অভিযোগ, ভারতের প্রাচীন ইতিহাসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মুঘলদের ভারতীয় ইতিহাসে খলনায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
আরও পড়ুন- একাধিক নায়কের সঙ্গে জড়িয়েছিল নাম, এক এমএমএসেই শেষ এই নায়িকার কেরিয়ার
প্রসঙ্গত, তাঁর পরবর্তী কাজটি মুসলিম ইতিহাসের উপরেই আধারিত। খুব শীঘ্রই নাসিরকে দেখা যাবে সম্রাট আকবরের ভূমিকায়। জানা যাবে মোঘল সাম্রাজ্যের অন্দরে ঘটে যাওয়া অনেক অজানা কথা, উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব ইত্যাদি৷ এদিন সেই ছবির প্রচারে এসে ফের মুখ খুললেন তিনি। তাঁর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানেই মুঘল প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “দেশের ইতিহাসে মুঘলদের যেমন অতিরঞ্জিত করার কোনও প্রয়োজন নেই, তেমনই তাঁদের ভিলেন সাজানোরও প্রয়োজন নেই!”
ক্ষুব্ধ নাসিরউদ্দিনের দাবি, “মুঘলরা যদি সব কিছুই খারাপ করে থাকেন, তা হলে তাজমহল, রেড ফোর্টের মতো সৌধগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক।”
নাসিরের কথায়, সুস্থ বিতর্কের পরিসর ভারতে নেই। যাঁরা তাঁর বিরোধিতা করতে অভ্যস্ত, তাঁর বক্তব্যের অভিমুখটাই বুঝতে পারবেন না। যুক্তিবুদ্ধি, ইতিহাস চেতনার অভাব বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিনেতা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মুঘল যুগকে নিরন্তর অপমান করে চলেছে শাসকদল৷ ইতিমধ্যেই চল্লিশটি শহরের নাম বদল করা হয়ে গিয়েছে৷ গত কয়েক দশক ধকে, যেগুলি মুঘলদের নামের স্মৃতি বহন করছিল। এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবন ‘মুঘল গার্ডেনস’-এর নাম বদলে ‘অমৃত উদ্যান’ করা হয়েছে। নাসিরের মনে করেন, এটি সমান্তরাল ইতিহাস তৈরির প্রয়াস।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>