kiren rijiju
নয়াদিল্লি: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিমধ্যেই সাফল্যের নয়া শিখর ছুঁয়েছে ভারত৷ সেই সাফল্যের মাঝেই সূর্য জয়ে নেমেছে দেশ৷ সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্রের হালহাকিতক জানতে রওনা দিয়েছে ভারতের তৈরি প্রথম সৌরযান আদিত্য এল১৷ অন্যদিকে আবার গগনযানে করে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এরই মাঝে সমুদ্র-জয়ের লক্ষ্যে পা বাড়াল ভারত৷ সাগরের অতলে ডুব দেবে ভারতের সমুদ্রযান মৎস্য-৬০০০। সমুদ্রযানের প্রস্তুতি কেমন চলছে, তা নিজের চোখে খতিয়ে দেখতে মৎস্য-৬০০০-এর অন্দরে পা রাখেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
চেন্নাইতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেন টেকনোলজিতে তৈরি হচ্ছে এই সমুদ্রযান৷ সেখানে গিয়ে নিজে সমুদ্রযানের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন রিজিজু। ‘মৎস্য ৬০০০’-এর ভেতরেও ঢুকে বোঝার চেষ্টা করেন কীভাবে এই সমুদ্রযান কাজ করবে৷ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সমুদ্রযানের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷
জানা গিয়েছে, সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে ‘মৎস্য ৬০০০’৷ এটা কিছুটা সাবমেরিনের মতো হলেও, এর কর্মপ্রণালী কিন্তু ভিন্ন৷ এটি সাবমার্সিবল সাবমেরিন। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ও গবেষণার লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে এবার থেকে আমেরিকা, চিন-সহ ৬টি দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে অভিযান। সমুদ্রের গভীরে পৌঁছে গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা। গভীর সমুদ্রাভিযানের ক্ষেত্রে ‘এয়ার প্রেসার’ মোকাবিলা করতে সক্ষম মৎস্য ৬০০০। এই সমুদ্রযান সমুদ্রের নীচে ৬ কিলোমিটার গভীরে যেতে সক্ষম হলেও প্রথম অভিযানে মাত্র ৫০০ মিটার গভীরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের।
২০২৪ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে ট্রায়াল রান। এই সমুদ্রযান যাতে সাগরের জলরাশির বিপুল চাপ যাতে সইতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। এই সমুদ্রযানে মোট তিনজন যেতে পারবেন৷