নাম্পো: তুঘলকি শাসন! সীমান্তের ওপার থেকে আসা সব বিড়াল ও পায়রা খতম করার জন্য দেশের সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন কিম উন জং৷ ওই দু’টি নিরীহ পশু ও পাখি উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সীমান্ত পেরিয়ে চিন থেকে বিড়াল ও পায়রারাই করোনা আমদানি করছে বলে দাবি করেছেন কিম৷
উত্তর কোরিয়ার একটি প্রথম সারির দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে কী করে করোনার প্রকোপ ছড়াল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছিল সেখানকার প্রশাসন। আর সেই তদন্তের রিপোর্টে করোনা ছড়ানোর জন্য পথে ঘুরে বেড়ানো বিড়ালদের দায়ী করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই কিম নির্দেশ দিয়েছেন, চিনা সীমান্ত পেরিয়ে কোনও পাখি বা পশু উত্তর কোরিয়ায় ঢুকতে চাইলে, সেটিকে গুলি করে মেরে ফেলার৷ একটি পরিবার তাঁদের বাড়িতে বিড়াল পোষায় ইতিমধ্যে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেই পরিবারকে শাস্তি দেওয়া ছাড়াও কুড়ি দিন আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হয়। স্থানীয় দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন স্থানীয়দের ওপর পশু-পাখি মারার জন্য চাপ দিচ্ছে৷
প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়েছে, কিম জং এমন আদেশ দেওয়ায় চটেছেন তাঁর দেশের জনগণের একাংশ। অধিক পরিমাণে করোনা ভ্যাকসিন মজুত করে রাখার জন্য উত্তর কোরিয়া আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একাধিক দেশের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বের বহু দেশ করোনার টিকা পাচ্ছে না, সেখানে তা প্রচুর পরিমাণে মজুত করে রেখেছেন কিম। চাইলেই টিকার আকাল থাকা দেশগুলোয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু কিম জং তা করতে চান না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাবরই বলে এসেছে, যে কোনও দেশের মানুষের মধ্যে মানবতার স্বার্থেই করোনার টিকা বিলিয়ে দেওয়া উচিত। করোনা নামক সংক্রমণ নির্মূল না হলে সবারই বিপদ বাড়বে। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে গোটা দুনিয়ায় আলাদা করে কোনও দেশ রেহাই পাবে না।