কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি ডি শিবকুমারকে কাঁদতে দেখা যায়। আবেগে ভেসে যান শিবকুমার। যেন এক দীর্ঘ লড়াই শেষে জয়ের স্বাদ তাঁকে আপ্লুত করেছে। দলকে ভালোবেসেই ময়দানে নেমে কাজ করেন ডি শিবকুমার। সেই শিবকুমার বার বার যার নাম নিলেন তিনি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে, যিনি নিজেই কর্ণাটকের। হয়ত সেই কারণেই কর্ণাটকের ভোটের কথা মাথায় রেখে মল্লিকার্জুন খার্গেকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে আনা হয়।
মাত্র সাত মাস সবাপতিত্বের দায়িত্ব খার্গে, সেই সাত মাসের মধ্যেই নিজের গর কর্ণাটকে লাগাতার কাজ করে গেছেন খার্গে। প্রমাণ সামনেই। বিজেপিকে কুপকাত করে কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের বড় কৃতিত্ব যে খার্গেরই তা বলাই যায়। এবার আসা যাক বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কথায়। ২০২০ সালে অমিত শাহের জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হন হিমাচলের জেপি নাড্ডা। আড়াই বছরের ক্ষমতায় নাড্ডা হিমাচলে বিজেপিকে জয় দিতে ব্যর্থ। শুধু তাই নয়- এই আড়াই বছরে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটেও বিজেপি জিততে পারেনি। এবার সেই তালিকায় কর্ণাটক। দুটি বিষয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ-
• হিমাচলের নাড্ডা বিজেপিকে পাহাড়ে জেতাতে ব্যর্থ
• কর্ণাটকের খার্গে কংগ্রেসকে টিপুর রাজ্যে জেতাতে সফল
খার্গে কংগ্রেসের পর পর হারের তালিকায় যেন তরতাজা হাওয়া আনলেন। চোব্বিশের আগে কর্ণাটক জয় সেই বাড়তি পুষ্টি। যেখানে খার্গে দলিত রাজনীতিকে নিজের হাতে নিতে সফল হয়েছেন। রাজ্যের ৬৬ শতাংশ দলিত ভোট কংগ্রেসের পক্ষে। কম বড় কথা তো নয় এতটা ভোট সংগ্রহ করা। যা করে দেখিয়েছেন খার্গে। তাই কংগ্রেসের খাতে খার্গে সেই তাস যে তাসে কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়কে সম্পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করে। তাই কর্ণাটকে বিজেপির হার জেপি নাড্ডার চাকরিকে কতটা সুরক্ষিত করছে সেই প্রশ্ন থেকে গেল। ২০২৪ এর ভোটের আগেই তাঁর পদস্খলন হয় কি না, সেই আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।