কলকাতা: এম আদমি পার্টির সাফল্যে উৎসাহিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে তিনি বিজেপিকে রাজ্য ছাড়া করবেন বলে দিয়েছেন। কিন্তু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই দিল্লির ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেননি।
কারণটা স্পষ্ট, এই বাংলায় প্রতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে কন্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জেলে আটক, বিভিনস্তরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি – পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সারা দেশ দেখেছে। পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। কিন্তু, ব্যালট বাক্স পুকুরের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে যা সারা দেশ এবং বিশ্ব দেখেছে সংবাদ মাধ্যমে। এমনকি ভোট গণনা সময় ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছে – এই সব ঘটনাগুকি প্রমান করছে রাজ্যে বিপন্ন গণতন্ত্র। দায়ী, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিলেও, অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে রাজ্যে কাজ করতে দেয়নি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতার তফাৎ প্রচুর। অরবিন্দ ব্যক্তি এবং বাচন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অরবিন্দ গণতন্ত্রকে কন্ঠরোধ করেছেন, এমন অভিযোগ বিজেপিও তোলেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কুৎসিত ব্যাক্তি আক্রমণে না গিয়ে তিনি তার উন্নয়নের নৌকা চড়েই তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী। বরং, কম অত্যাচার সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। বিজেপি সরকার তার চিফ সেক্রেটারি কে গ্রেফতার করে নিয়েছিল এক সময়। এই ভোটেও তাকে টেরোরিস্ট বলা হয়। কিন্তু, কথা বার্তার সৌজন্যতা ছাড়েননি অরবিন্দ।
বরং, তৃণমূল নেত্রীকে প্রচার করতে দিল্লিতে ডাকেন নি অরবিন্দ। তিনি সম্ভবত ভালো করেই জানতেন, দিল্লির বাঙালিদের উপর তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতার প্রভাব খুবই কোন। বরং নেগেটিভ প্রভাব বেশি। সেই ক্ষেত্রে তার মমতাকে প্রয়োজন হবে না। অরবিন্দের আওমর্তজনে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রয়ন টুইট করেন মাত্র।